বিনোদন ডেস্ক : একটা দুর্ঘটনায় দুই চোখই অন্ধ হয়ে যায় অবিনাশের। চোখ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এমন কী বেঁচে থাকার মানেও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সেই অভিনাশের গান শুনেই এখন কাঁদছে কোটি কোটি দর্শক শ্রোতা। তার অসাধারণ গায়কী খুব সহজেই হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
ভারতীয় টেলিভিশন সোনি টিভির আলোচিত সংগীতের প্রতিযোগিতার ১১তম সিজিনে অংশ নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, মেজিয়ার অর্ধ গ্রামের ছেলে অবিনাশ। ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে বিশাল-শেখরের সুর
রাহাত ফতেহ আলী খানের গাওয়া ‘তু না জানে আশ পাশকে’ শিরোনামের গান গেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন তিনি।
মঞ্চে বিচারক সারিতে ছিলেন নেহা কক্কর, বিশাল দাদলানি ও আনুমালিক। অবিনাশের গান শুনে অঝরে কেঁদেছেন নেহা কাক্কার। চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন আনু মালিক। গান গাওয়া শেষে আনু মালিক বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরেন অবিনাশকে।
নেহা কাক্কার অবিনাশের কাছে জানতে চান তোমার চেহারায় কী হয়েছে?, অবিনাশ বলেন, ‘এক দূর্ঘটনায় আমার চেহারা আগুনে ঝলছে যায়। আমার দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। আমি বাবাকে বলেছিলাম। আমার বেঁচে থেকে কী হবে! চোখ ছাড়া আমি কীভাবে চলবো। বাবা বলেছিলেন চোখ না থাকলেও মানুষ অনেক কিছু করতে পারে। আজ ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’
বিশাল দাদলানি বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত শিল্পী আছেন যাদের চোখ ছিলো না। এর মধ্যে একজন বিখ্যাত শিল্পী হলেন স্টিভ ওয়ান্ডার, রবীন্দ্র জায়েন। মনে রেখো তুমি গান ভালোবাসো। গান তোমাকে ছেড়ে কখনোও যাবে না। তোমার কণ্ঠে গানটি শুনে নতুন করে এই গানের অর্থ আবিস্কার করেছি। ’
ইন্ডিয়ান আইডলের অভিনাশের গাওয়া সেই গানের ভিডিও এখন ভেসে বেড়াছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সংগীতপ্রেমীরা তার গান শেয়ার করে তাকে শুভকামনা জানাচ্ছেন। কোটি কোটি মানুষ শুনছে তার গান। এক গান শুনলে অনেকের পক্ষেই চোখের পানি আটকে রাখা সম্ভব নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।