অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতেই হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। গতকাল জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় এক ভাষণে আজ মোদী বলেন, ‘‘গুজবে কান দেবেন না। নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন অন্ধ বিশ্বাস থেকে।’’
রাজনীতির লোকজন মনে করছেন, সঙ্কট বাড়ছে বুঝেই বিজেপি, আরএসএস, হিন্দু মহাসভার তাবৎ নেতাদের মুখ বন্ধ করার নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছেন মোদী।
করোনা যখন দিল্লিতে ত্রাস ছড়িয়েছে, সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘অতীত কাল থেকে বিভিন্ন বড় অসুখ সারিয়েছে গোমূত্র। করোনা-ও সারাবে।’’ তখন নীরব ছিলেন মোদী।
দিল্লিতে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা ‘গোমূত্র পার্টি’র আয়োজন করার পরেও মোদীকে এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে শোনা যায়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে এ কথাও জানান, রোদে দাঁড়িয়ে ভিটামিন ডি শুষে নিলে করোনা পালানোর পথ পাবে না।
ভবারতের মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা শাইনা এনসি আবার দাবি করেছেন, জনতা কার্ফুর পর সম্মিলিত তালিতে তৈরি হওয়া তরঙ্গে দূর হবে করোনাভাইরাস।
আনন্দবাজারে প্রকাশ পাওয়া এক সংবাদে বলা হয়, বিরোধী নেতাদের একাংশের প্রশ্ন, গোমূত্র-পথে যে সাফল্য মিলবে না, তা জানা সত্ত্বেও কেন নীরব ছিলেন মোদী? আজ কেন হঠাৎ বোধোদয়?
সদ্য আজই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুটি বসন্ত ও পোলিয়ো দমনে ভারতের সাফল্যের প্রশংসা করেছে। করোনা অতিমারিও তারা সামলাতে পারবে বলে আস্থা জানিয়েছে।
বিরোধী ও বিজ্ঞানমনস্কদের অনেকে মনে করছেন, এতে হয়তো দায়বদ্ধতার বোধ বা করোনা-চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সফল হওয়ার তাগিদ তৈরি হয়েছে মোদীর মধ্যে। সে কারণেই হয়তো হিন্দুত্বের নামে অন্ধ বিশ্বাসকে প্রশ্রয় দেওয়ার পথ থেকে সরে আসার ডাক দিতে হয়েছে তাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।