লাইফস্টাইল ডেস্ক: আমাদের শরীরের ৭০ ভাগই পানি। আর এই পানিকে পরিশুদ্ধ করে রক্তের প্রবাহে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে কাজ করে কিডনি। তবে কিডনিতে পাথর হলে এই কাজ অনেকটাই বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
বৃক্ক বা কিডনি মেরুদণ্ডী প্রাণিদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা দেহের রেচনতন্ত্রের প্রধান অংশ। এর প্রধান কাজ রক্ত ছেঁকে বর্জ্য পদার্থ (যেমন ইউরিয়া) পৃথকীকরণ ও মূত্র উৎপাদন। কিন্তু শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলেও কিডনি সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকেই মনে করেন, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে তা কেবল শরীরে বিভিন্ন স্থান ও জয়েন্টের ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই এই ইউরিক অ্যাসিড শুধু ব্যথার কারণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তা কাজ করতে শুরু করে কিডনিতে পাথর তৈরিতেও।
গবেষকরা বলছেন, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে তা যদি ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ব্যথার স্থানে ফোলাভাব ও লালচে রং হতে শুরু করে তাহলে রোগীকে অবশ্যই সতদর্ক থাকতে হবে।
এ বিষয়ে ভারতের আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, কিডনিতে পাথর হওয়ার মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হলো ইউরিক অ্যাসিড।
তিনি আরও বলেন, কিডনিতে পাথর জমলে রোগীর মধ্যে ব্যথার লক্ষণই প্রথমে ধরা পড়ে। আর তা হলো পেট কিংবা পিঠে ব্যথা। তবে এই ব্যথা অন্যসব ব্যথার তুলনায় আলাদা। কিডনি সমস্যায় অনেক সময় ইউরিনে সঙ্গে রক্ত বের হতে পারে। তবে আরও গভীরে রোগ ছড়িয়ে পড়লে কিডনির পাথর ধীরে ধীরে ইউরিনের রাস্তাতেও জমতে শুরু করে।
সাধারণত ইউরিনে ইনফেকশান, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা, দীর্ঘক্ষণ প্রসাব আটকে রাখার কারণে হয়ে থাকে। এছাড়া কেমোথেরাপি বা অন্য কোনো কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর জমে।
এই রোগ নির্ণয়ে প্রথমে রোগীর হিস্ট্রি চেক করেন চিকিৎসক। এরপর রোগীকে করতে হয় সিটি বা এমআরআই টেস্ট। এই দুই টেস্ট দিয়েই বোঝা যায় কিডনিতে পাথরের অস্তিত্ব।
তবে কিডনিতে পাথরের অবস্থান ও ধরন বোঝার জন্য চিকিৎসকরা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করেন। কিডনিতে পাথরের ধরন ছোট হলে ওষুধ ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট শুরু করেন চিকিৎসকরা। আর কিডনিতে পাথরের ধরন বড় হলে দেরি না করে চিকিৎসকরা কিডনির পাথর অপসারণের জন্য সার্জারির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
সূত্র: এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।