স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনন্য ঘটনার জন্ম দিলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম দেখায় থার্ড আম্পায়ার জানিয়েছেন রান আউটের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তিনি নিজেই তুলে নিয়েছেন নিজের আবেদন। ফলে পুনরায় রিপ্লে দেখে নট আউটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলেন টিভি আম্পায়ার গাজী সোহেল।
ঘটনা আফগানিস্তানের ইনিংসের ১৭তম ওভারের। সাকিবের করা সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে লং অফে নাজিবউল্লাহ জাদরানের ক্যাচ ছেড়ে দেন শরিফুল ইসলাম। তার হাত ফসকে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে। ঠিক পরের বলেই সজোরে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেন আফগান অলরাউন্ডার নাজিব।
বোলিং প্রান্তের স্টাম্পের ঠিক সামনে দাঁড়ানো সাকিবের দুই হাতে ফাঁক দিয়ে চলে যায় বল। যা গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। হাতে লেগেছে মনে করে নন স্ট্রাইকে থাকা রহমত শাহর বিপক্ষে রান আউটের আবেদন করেন সাকিব। যা দেখে থার্ড আম্পায়ারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান অন ফিল্ডের আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল।
তবে পরক্ষণেই সাকিব হাত নাড়িয়ে আম্পায়ারকে জানিয়ে দেন, আসলে বলটি তার হাতে লাগেনি। তিনি তার আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন; কিন্তু এর আগেই থার্ড আম্পায়ারের কাছে যাওয়া সিদ্ধান্তের ফলে রিপ্লে দেখতে থাকেন গাজী সোহেল। তিনি প্রথমে বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখে জানান, বলটি সাকিবের হাতে লেগেছে। তাই রান আউট রহমত শাহ।
ঠিক তখনই মাঠের মধ্যে দেখা দেয় সংশয়। সাকিব যেহেতু হাত নাড়িয়ে বলেছিলেন বল তার হাতে লাগেনি, তাই রহমত শাহ মাঠ ছেড়ে যাননি। তিনি বরং কথা বলতে থাকেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে। তখন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলের সঙ্গে কথা বলছিলেন বোলার সাকিব।
বেশ কিছুক্ষণ এই আলাপ চলার পর আবার রিপ্লে দেখা শুরু করেন থার্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল। এবার তিনি নিশ্চিত হন বল সাকিবের দুই হাত গলে চলে গিয়ে তারপর আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ওই সময় বল সাকিবের হাত স্পর্শ করেনি। তাই নিজের সিদ্ধান্ত বদলে নট আউটের রায় জানান গাজী সোহেল। তবে এর পেছনে মূলতঃ শুরুতে সাকিবের আবেদন তুলে নেওয়াটাই সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে ধারণা করছে সবাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।