জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় সংসদে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চায় বাধার কারণ হলো সংবিধানের ৭০ ধারা। তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পাওয়া সম্ভব নয়।
আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ১৯৯০ সালের এ দিনে আন্দোলনের মুখে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়েন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরের বছর থেকে দিবসটিকে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে জাতীয় পার্টি।
তিনি বলেন, ‘যদি সংবিধানের ৭০ ধারা উঠিয়ে দেওয়া হয় এবং সংসদ সদস্যরা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন, তাহলে সরকারের স্থায়ীত্ব কম হবে। এতে প্রতি মাসেও সরকার পরিবর্তন হতে পারে, যে কোনো বিল পাস করতেও সমস্যা হবে সরকারের।
জাতীয় পার্টির বড় অর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্য কোনো কায়দায় ক্ষমতায় থাকতে না চেয়ে এরশাদ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্ষমতা হস্থান্তর করেছেন। অন্যায়-অবিচারের মধ্যেও জাতীয় পার্টি সংবিধান সমুন্নত রাখতে রাজনীতি করে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টি কাজ করছে গণতন্ত্র বজায় রাখতে এবং গণতন্ত্র বিকশিত করতে।’
জিএম কাদের বলেন, আমাদের দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারা অর্জিত হচ্ছে না। আর এ কারণেই আগে পিছে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, তাদের সবাইকে স্বৈরাচার বলা হয়েছে। কিন্তু সবাই মিলে দোষ দিয়েছেন শুধু একজনকে, তিনি হচ্ছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সাল চিশতী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদাসহ অনেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।