বিনোদন ডেস্ক : পার্থকাণ্ডে ফের বিস্ফোরক মিঠুন চক্রবর্তী। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একের পর এক ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের ঘটনায় ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মিঠুন চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এত টাকা এই দুজনের হতে পারে! লুঠের টাকা রক্ষা করতেন তাঁরা দুজনে। অনেকের টাকা তাঁরা হেফাজতে নিয়ে সামলাতেন। আমার অনুরোধ, নিজেরা এত কষ্ট পাবেন না। সত্যি কথা বলে দিন। কষ্ট কম হয়ে যাবে। অন্যের কষ্ট আপনি কেন নিয়ে ঘুরছেন? সত্যি কথা বলে দিন। হিন্দিতে একটা প্রবাদ আছে, হাম তো ডুবে হ্যায়, তুঝে ভি সাথ লেকে ডুবেঙ্গে…’
প্রসঙ্গত, বুধবার একবার বোমা ফাটিয়েছেন ‘মহাগুরু’। বুধবার হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে যান মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নরমে-গরমে রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের সমালোচনা করেন ‘মহাগুরু’। বিস্ফোরক দাবি করেন, “৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন। তার মধ্যে ২১ জন বিধায়ক সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে।” একইসঙ্গে পার্থ প্রসঙ্গে মুখ খুলে গতকাল মিঠুন বলেছিলেন, “দুর্নীতির প্রমাণ না থাকলে ঘুমিয়ে থাকুন। প্রমাণ থাকলে কেউ বাঁচাতে পারবে না।”
যারপরই মিঠুন চক্রবর্তীর গ্রেফতারির দাবিতে পাল্টা সরব হন কুণাল ঘোষ। মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের ব্ল্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, সারদার সুবিধাভোগী’ বলে তোপ দাগেন তৃণমূলের মুখপাত্র। বলেন, ‘অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, সারদার সুবিধাভোগী। কীসের টাকা ফেরত দিয়েছেন? যতদিন রাজ্য সরকারের হাতে তদন্ত ছিল, ততদিন এক পয়সাও ফেরত দেননি। যেদিন ইডি কলার ধরেছে, সেদিন টাকা ফেরত দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী।’ কুণালের দাবি, ‘ওঁর তো অ্যারেস্ট হওয়া উচিত। অ্যালকেমিস্টের মামলাতেই অ্য়ারেস্ট হওয়া উচিত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।