জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যা গ্রামে এনজিও কর্মী রণজিৎ রায় (৩৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ঋণ গ্রহীতা মো. সানোয়ার হোসেন (৩০) রোববার (২৪ নভেম্বর) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় সানোয়ারের ভাই আনোয়ারকে আটক করা হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর নিহত রণজিৎ রায়ের জুতা, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগসহ নগদ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন সানোয়ারের স্ত্রী ও মা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, রোববার ১৬৪ ধারায় সানোয়ার হোসেন হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবাবনন্দিতে তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ১২টার দিকে এনজিও কর্মী রণজিৎ রায় কিস্তির টাকা আদায় করতে তাদের বাড়িতে যান। একপর্যায়ে সানোয়ার রণজিৎকে একটি বইয়ের কিস্তির টাকা দেয়ার পর আরেকটি বইয়ের কিস্তির টাকা ঘাটতি থাকায় তা সংগ্রহের জন্য তাকে বাড়িতে বসিয়ে রেখে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে চলে যান।
কিন্তু পরে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসে ঘরের ভেতর স্ত্রীর সঙ্গে এনজিও কর্মী রণজিৎ রায়কে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান সানোয়ার। আপত্তিকর অবস্থায় দেখে মাথায় রক্ত উঠে যায় সানোয়ারের। দুপুর ১টার দিকে তিনি ঘরের মধ্যে গলায় রশি পেঁচিয়ে রণজিৎকে হত্যা করেন। পরে গভীর রাতে মরদেহ জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে ব্রিজের নিচে ফেলে দেন।
এসআই মিজানুর রহমান জানান, দ্রুতই ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। তবে সানোয়ারের সঙ্গে আর কেউ এই হত্যাকণ্ডে জড়িত আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার দিশা এনজিও নামের একটি ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মী রণজিৎ রায় (৩৫) কিস্তির টাকায় আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন বুধবার সকালে উপজেলার দুল্যা গ্রামের জয়নাল মিয়ার বাড়ির সামনে ব্রিজের নিচ থেকে রণজিৎ রায়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।