জুমবাংলা ডেস্ক : নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়াকে নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংগঠনের আর কারা অপকর্মে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলকে এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সারা দেশে যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের খোঁজ নিতে। কারা কারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করতে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এছাড়া গোয়েন্দা রিপোর্ট দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুব মহিলা লীগের এক নেত্রী বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, পাপিয়ার মত আরো অনেক নেত্রী রয়েছেন যারা অপকর্মে লিপ্ত। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে তারা অপকর্ম করে যাচ্ছেন এবং ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হয়েছেন।
প্রতারণা, অবৈধ অর্থ পাচার, জালটাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি আটক হয়েছেন নরসিংদী জেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনসহ চারজন।
আটকের পরপরই সামনে আসতে থাকে পাপিয়ার অপকর্মের খতিয়ান। রাজনৈতিক অঙ্গনেও পাপিয়াকে নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। মঙ্গলবার থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রাজধানীর বিমানবন্দর থানার পুলিশ।
পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা অবস্থায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন। ধরা পড়ার পর তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পাপিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় অর্থপাচার ও জাল টাকা রাখার ঘটনায় একটি মামলা এবং শেরেবাংলা নগর থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা হয়।
যুব মহিলা লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেত্রীরা জানান, যুব মহিলা লীগেরও শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আসছে। ফলে সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে পদচ্যুতির শঙ্কা বিরাজ করছে। তড়িঘড়ি করে অনানুষ্ঠানিক সভা করে তৃণমূলের যুব মহিলা লীগ নেত্রীদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদ অপু উকিল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছি। আমাদের ৪০টা টিম রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। আর নরসিংদীতে যে টিম রয়েছে তারা কেন তার (পাপিয়া) গতিবিধি ফলো করতে পারেনি, সেজন্য তাদের কাছে আমরা জবাব চেয়েছি। গতকালই আমরা জেলার দায়িত্বে থাকা সকল টিমকে নির্দেশনা দিয়েছি সব মেয়েদের খোঁজ খবর নিতে এবং লিখিত আকারে রিপোর্ট করতে। কেউ সন্দেহভাজন হলেও তার বিষয়ে খোঁজ খবর বা তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।