জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরে বেশি লাভের আশায় অপরিণত পেঁয়াজ তুলছেন কৃষকরা। নির্ধারিত সময়ের আগেই পেঁয়াজ খেত থেকে তোলায় আগামীতে উৎপাদন ব্যাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কৃষকদের দাবি, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হলে দেশি পেঁয়াজের দামে ধস নামবে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন চাষিরা। এজন্য তারা আগাম খেত থেকে পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করে লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত প্রতিবছর মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত মূল মৌসুমের পেঁয়াজ বা হালি পেঁয়াজ তোলেন কৃষক। তবে এবার আগেভাগেই তা উত্তোলন শুরু করেন চাষিরা। এতে তারা লাভবান হলেও সার্বিকভাবে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নির্ধারিত সময়ের আগেই অপরিণত পেঁয়াজ উত্তোলন করায় সরকারের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, জেলায় এবার (২০২৩-২৪ অর্থবছর) পেঁয়াজের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ৫শ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে এক হাজার ৭০৭ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২০৭ হেক্টর জমিতে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এ থেকে ১৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছিল এক হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছিল ১৪ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন।
পেঁয়াজের সিংহভাগ উৎপাদন হয় রবি মৌসুমে। এ মৌসুমে মুড়িকাটা ও হালি দুই জাতের পেঁয়াজ চাষ করেন কৃষক। আশ্বিন থেকে ফাল্গ–ন মাসের প্রথম দিকে কন্দ বা মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়। এরপর চাষ করা হয় চারা বা হালি পেঁয়াজ। সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ দিকে মাঠ থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কাটা শুরু হয়। মধ্য মার্চ থেকে পুরোদমে হালি পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়। তবে চলতি মৌসুমে দাম বেশি থাকায় নির্ধারিত সময়ের ১৫-২০ দিন আগেই কৃষক পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করতে শুরু করেছেন।
ঝিকরগাছার গোলাম মোস্তফা জানান, সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম পাওয়া যাবে না। এ কারণে আগেভাগে খেত থেকে পেঁয়াজ তুলে বিক্রি করছি।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত বিশ্বাস জানান, পেঁয়াজ সাধারণত ১১০-১২০ দিনের মধ্যে উত্তোলন করলে ভালো মানের ফলন হয়। কৃষক স্বভাবতই লাভবান হওয়ার চেষ্টা করবেন। তারপরও পেঁয়াজ পরিপক্ব অবস্থায় জমি থেকে তুলে শুকিয়ে বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুললে কৃষক কিছুটা লাভবান হলেও সামগ্রিকভাবে উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।