জুমবাংলা ডেস্ক : কিশোর বয়সের অবুঝ আবেগ যুক্তি মেনে চলে না। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মিতুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল একই এলাকার কিশোর সুমনের সাথে। কিন্তু মিতুর পরিবার বারংবার এতে বাধা দিয়ে যায়। পরিবারের এই বাধায় অভিমান করে শনিবার (১৬ নভেম্বর) মিতু গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর কিশোর প্রেমিক সুমন দেখা করতে মিতুর বাড়িতে আসে। এ ঘটনা টের পেয়ে মিতুর বাবা সুমনকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় সুমনের একটি মোবাইল ফোন ফেলে রেখে যায়। ফোনটি উদ্ধার করে মিতুর বাবা মজিবুর রহমান ভেঙে ফেলে মেয়েকে শাসন করেন। এক পর্যায়ে মিতু কান্নাকাটি করে বাবার সাথে অভিমান করে বসত ঘরের একটি কক্ষে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
মিতুর চাচা বলেন, আমরা ভেবেছি মিতু হয়তো রাগ করে দরজা বন্ধ করেছে। পরে রাত ১২টার দিকে কোনো ধরনের সাড়া শব্দ না পেয়ে ওই কক্ষের ফাঁক দিয়ে উকি দিয়ে দেখি ও আত্মহত্যা করেছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক শাওন চক্রবর্তী জানান, মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।