আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অফিসের আট তলা – একটি বহুতল ভবনের নিচ থেকে র*ক্তা*ক্ত অবস্থায় উ’দ্ধার করা হয়েছে জেসমিন মিত্র নামে এক তরুণীর ম*র*দেহ। তার বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুর এলাকায়।
এজিসি বোস রোডের ওপর মিন্টো পার্ক এলাকায় তার অফিস। সেই অফিস বিল্ডিংয়ের নিচেই সোমবার দুপুরে জেসমিনের ম*র*দেহ উ’দ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃ*ত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক ত*দন্তে জানাগেছে, ওই তরুণী অফিসের আট তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ছিলেন। ঠিক কি কারণে ওই তরুণী ঝাঁপ দিলেন তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
অফিসের নিরাপ*ত্তারক্ষীরা পু’লিশকে জানিয়েছেন, হঠাৎ উপর থেকে বেশ ভারী কিছু নিচে পড়ার জো’রালো আওয়াজ পান চিত্রকূট বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই ভবনে একাধিক বেসরকারি সংস্থার অফিস। সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা*রক্ষীরা দৌড়ে গিয়ে দেখেন র*ক্তা*ক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক তরুণী। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয়া হয় ভবানীপুর থানায়। পু’লিশ এসে তাকে হাস*পাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা জানান, ওই তরুণীর মৃ*ত্যু হয়েছে।
আটতলায় একটি গাড়ি বিমা কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। অন্য দিনের মতো এ দিন সকাল ১০টায় অফিসে এসেছিলেন জেসমিন। অফিসে যেখানে তিনি বসতেন, সেই টেবিলের ওপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি উ’দ্ধার করেছে পু’লিশ। ওই তলারই একটি খোলা জা*নলার নিচে তার পায়ের জুতাও পাওয়া গেছে।
খোলা জুতা এবং টেবিলে রাখা মোবাইল দেখে প্রা*থমিক ভাবে ত’দন্তকারীদের ধারণা, আটতলার ওই জানলা থেকেই নিচে ঝাঁপ মে*রেছিলেন জেসমিন। কিন্তু কী’ কারণে ওই তরুণী নীচে ঝাঁপ মে*রেছিলেন, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে ত’দন্তকারীরা। পাওয়া যায়নি কোনো সুই*সাইড নোটও।
পু’লিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে এসএসকেএমে আসেন জেসমিনের বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। তারা পু’লিশকে জানিয়েছেন, ২০১৩-য় জেসমিনের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা অনিরুদ্ধ মিত্রের বিয়ে হয়। আলাদা ধ’র্মে বিয়ে হলেও তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না।
জেসমিনের স্বামী অনিরুদ্ধও একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তাকেও খবর দেয়া হয়। পু’লিশ অনিরুদ্ধের সঙ্গেও কথা বলেছেন। প্রাথমিক ভাবে পারিবারিক কোনো সমস্যা পাননি ত’দন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জেসমিনের অফিসের সহকর্মীদেরও। ওই তরুণী যদি আ*ত্মহ*ত্যা করে থাকেন, তবে কী’ কারণে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভবানীপুর থানার এক কর্মক’র্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।