স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাটে-বলে দারুন ছন্দে ছিলো খুলনা টাইগার্স। কিন্তু এই ম্যাচ জেতার জন্য রান যে অনেক বেশি ছিল-২৩৩ রান! সেই রান তাড়ায় নেমে খুলনা টাইগার্স থেমে গেল ১৫২ রানে। সিলেট থান্ডার ম্যাচ জিতল ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এটি সিলেটের পাঁচ ম্যাচে প্রথম জয়। অন্যদিকে খুলনা টাইগার্সের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম হার।
ম্যাচ জয়ের আসল কাজ সিলেট থান্ডার সেরে ফেলেছিল ব্যাটিং পর্বেই। ২৩২ রানকে টি-টোয়েন্টিতে জয়ী টার্গেট না ভাবার কোনো কারণই নেই! আন্দ্রে ফ্লেচার ও চার্লস জনসনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে সিলেট থান্ডার গড়ে ২৩২ রান। চলতি টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখান আন্দ্রে ফ্লেচার। সিলেটের এই ওপেনার ইনিংসের আগাগোড়া পুরোটা জুড়ে ব্যাট করেন যান। ৫৭ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটসম্যান।
শুরু থেকেই এই ম্যাচে বিশাল স্কোর গড়ার দিকে মনোযোগ দেয় সিলেট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার আব্দুল মজিদকে হারায় তারা। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১.৪ ওভারে ফ্লেচার ও জনসন ১৫১ রানের বিশাল রান যোগাড় করেন। আন্দ্রে ফ্লেচারের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে সিলেটের সংগ্রহ দুশো ছাড়িয়ে যায়।
খুলনা তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায়। আফগানিস্তানের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ গোল্ডেন ডাক মারেন। কিন্তু অপর ওপেনার সাঈফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ ফর্মে থাকা খুলনার ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো রান তাড়ার চ্যালেঞ্জটা নেন। মাত্র ৩০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পান রুশো। ৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় আসে তার এই হাফ-সেঞ্চুরি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চার ম্যাচে এটি তার তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি!
তবে হাফ-সেঞ্চুরির পরপরই নাভিন-উল-হকের লো ফুলটসে আরেকটি ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে ফিরেন রুশো। স্কোরবোর্ডে রানের বিপুল চাহিদা দেখে শামসুর রহমান প্রতিটি বলেই চালিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হলেন। দলের স্কোরবোর্ডে ১০০ রান উঠার পর মুশফিক রহিমও ফিরে এলেন।
শেষের দিকে ২০ বলে ৪৪ রান করে রোবি ফ্রাইলিঙ্ক একাই লড়াই করলেন। কিন্তু আস্কিং রান রেট ক্রমশ এতো বেশি উচ্চতায় গিয়ে পৌঁছাল যে সেখান থেকে ম্যাচ জেতা খুলনার জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ইনজুরির কারণে খুলনার শেষ ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলাম ব্যাট করতে নামেননি।
১৫ ওভারে খুলনার স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১২৮ রান। ম্যাচ জিততে শেষ পাঁচ ওভারে তাদের প্রয়োজন দাঁড়ায় ১০৬ রান। ওভার প্রতি চাই তখন প্রায় ২১ রান!
অসম্ভব সেই টার্গেটের ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের পর খুলনা টাইগার্সের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলছিলেন-‘এই হার এখন নিশ্চয়ই আমাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে!’
ব্যাটিং স্বর্গে টসে জিতেও আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগটা কেন নিলেন না খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম- সেটাও একটা প্রশ্ন। রান তাড়া করে আগের তিনটি ম্যাচ জেতার অভ্যাসের জন্যই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত নেন মুশফিক।
কিন্তু একই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটে প্রতিদিনই খাটে না!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট থান্ডার: ২৩২/৫ (২০ ওভারে, ফ্লেচার ১০৩*, জনসন ৯০, ফ্রাইলিঙ্ক ২/৩৭)।
খুলনা টাইগার্স: ১৫২/১০ (১৮.৩ ওভারে, রুশো ৫২, মুশফিক ১২, ফ্রাইলিঙ্ক ৪৪, সান্টোকি ৩/৩৭, মনির হোসেন ২/৩১, এবাদত ২/১৭)।
ফল: সিলেট থান্ডার ৮০ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: আন্দ্রে ফ্লেচার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



