স্পোর্টস ডেস্ক: আবারও ইউরোপের শীর্ষ সারির লিগে ফিরলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার দানি আলভেস। ফুটবলার হিসেবেই আবার নাম লেখালেন ভালোবাসার ক্লাব বার্সেলোনায়।
গত কদিন ধরেই আকাশে-বাতাসে গুঞ্জন, পুরনো ডেরা বার্সায় ফিরতে যাচ্ছেন আলভেস। তবে ৩৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারের কাছ থেকে বার্সার মতো শীর্ষসারির ক্লাবের আর কী-ই পাওয়ার আছে! সে কারণেই ছিল সংশয়। তবে সমস্ত জল্পনা দূর করে বার্সেলোনা আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিলো, আলভেসকে ঘরে ফেরাচ্ছে তারা।
আলভেস মাঠের বাইরে যেমন মজার মানুষ, মাঠেও তার প্রাণচঞ্চল স্বভাব খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে বেশ বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া বার্সা ড্রেসিংরুমে তরুণ খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করার মতো এমন কাউকেই চেয়েছিল।
কিছুদিন আগে আলভেসের দীর্ঘদিনের বার্সা সতীর্থ জাভি ম্যানেজারের দায়িত্ব নিতেই, তার ক্লাবে ফেরার পথ সুগম হয়। বার্সার কোচ হিসেবে জাভির প্রথম চাওয়াই ছিলেন আলভেস। এ দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা কত গভীর তা হয়তো অনেকেরই জানা আছে। জাভি ফুটবলার হিসেবে বার্সা ছাড়ার পর তার ৬ নম্বর জার্সি গায়ে তুলেছিলেন এই রাইটব্যাক।
শুক্রবার রাতে বার্সা নিশ্চিত করে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে আলভেসকে আবার চুক্তিবদ্ধ করেছে তারা। বিবৃতিতে কাতালান ক্লাবটি লেখে, এফসি বার্সেলোনা এবং দানি আলভেস চলতি মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য নীতিগতভাবে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই ব্রাজিলিয়ান আগামী সপ্তাহেই অনুশীলনে যোগ দেবেন। তবে জানুয়ারির আগে মাঠে নামতে পারবেন না।
লা লিগার ফুটবল দলবদলের বাজার সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কোনো খেলোয়াড়কে কিনলে আর নিবন্ধনের সুযোগ থাকে না। এ কারণেই আলভেসকে আগামী শীতকালীন দলবদলের বাজার শুরুর আগে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় নিবন্ধন করতে পারছে না বার্সা।
তবে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে আবার বার্সায় ফেরায় আলভেসের জন্য মাইলফলক হয়েই থাকছে। ২০০৮ সালে সেভিয়া থেকে প্রথম ন্যু ক্যাম্পে এসেছিলেন আলভেস। এরপর ব্লাউগ্রানা জার্সি গায়ে খেলেছেন টানা ৮ বছর। শিরোপা জিতেছেন ২৩টি। সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৬ সালে জুভেন্টাসে নাম লেখান তিনি।
এরপর ফরাসি ক্লাব পিএসজি হয়ে ২০১৯ সালে স্বদেশী ক্লাব সাও পাওলোয় ভেড়েন সবার প্রিয় দানিবয়। সেখানে বেতন নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চুক্তি বাতিল করেন আলভেস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।