বিনোদন ডেস্ক : রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার বাংলা’ গান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে সঙ্গীতশিল্পী নোবেল। কিন্তু যাঁর গানের প্রশংসা করে যাবতীয় বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে, সেই প্রিন্স মাহমুদ কিন্তু কোনওভাবেই নোবেলের বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না।
প্রিন্স মাহমুদ দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিল্পী। তাঁকে বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের অন্যতম প্রাণপুরুষ হিসাবে মনে করা হয়। নব্বইয়ের কৈশোর, যৌবনের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে তাঁর লেখা, সুর করা গান। বহু জনপ্রিয় শিল্পী তাঁর লেখায়, সুরে কন্ঠ দিয়েছেন। শীর্ষ তালিকায় রয়েছে মেহফুজ আনম জেমস-এর নাম। জেমসের একাধিক গান তাঁরই কলমের ফসল। অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ‘মা’, ‘বাবা’ কিংবা ‘বাংলাদেশ’-এর মত গানগুলি।
সম্প্রতি এই ‘বাংলাদেশ’ গান ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন নোবেল। সেখানে তিনি বলেন, ”রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘সোনার বাংলা’ গানটির চেয়ে প্রিন্স মাহমুদের ‘বাংলাদেশ’ আমার দেশের ঐতিহ্য, ইতিহাসকে অনেক স্পষ্ট করে ব্যক্ত করে।” পাশাপাশি নোবেল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এই গানটিকে নাকি জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। নোবেলের সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
এরপরই একের পর এক বাক্যের কষাঘাতে জর্জরিত হতে হয় নোবেলকে। এপার বাংলা কিংবা ওপার বাংলা, কেউই নোবেলের এই দাবি ভালভাবে নেয়নি। রবীন্দ্রনাথের সে গানের জাদুতে পদ্মাপারের মানুষ আজও একইরকম মোহিত। গর্বিত। কিন্তু প্রশ্ন ছিলই, নোবেল বিতর্কে কেন মুখ খুলছেন না প্রিন্স মাহমুদ। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন।
‘জাতীয় সঙ্গীত আমাদের অস্তিত্বের নাম’, নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন যা তিনি বলতে চান। উপচে পড়ল ভালবাসা। আর সে ভালবাসার সবটাই দিলেন ‘সোনার বাংলা’র মানুষ। নোবেল যাই বলুন না কেন, যে অর্থেই বলুন না কেন, আমরা কিন্তু বিশ্বাস করে-‘বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের যে তার নাইকো শেষ, বাংলাদেশ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।