জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম।
গত ১০ ডিসেম্বর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা কার্যকর হবে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট থেকে।
সোমবার আপিল বিভাগে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের (বিউটি বেগমের নিয়োগের তথ্য) কথা লিখিতভাবে জানান তৎকালীন মহাপরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা। এরপর বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আদালত অবমাননার আবেদন নিষ্পত্তি করেন।
আদালতে বিউটি বেগমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিক মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আলতাফ হোসেন জানান, ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিউটি বেগম নিয়োগ না পেয়ে গাইবান্ধার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জেলা জজ ও হাইকোর্টেও আদেশ বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে আপিলের পরও আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। ওই আদেশের পরেও বিউটি বেগম নিয়োগ পায়নি। তাই তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেন। আদালত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ২ মার্চ আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রুলেরও জবাব দেয়নি বিবাদীরা। এ কারণে আপিল বিভাগ বিবাদীদের তলব করেন।
গত ৭ ডিসেম্বর আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ পাঁচজন আদালতে হাজির হন।
সাবেক ডিজি ছাড়া অন্য চারজন হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. রমজান আলী, গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস সালাম ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুমুল ইসলাম।
এ পাঁচজন ছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।