বিজনেস ডেস্ক: কিছুদিন ধরেই অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম বাড়ছিল। অবশেষে শুক্রবার (৭ জুলাই) দেশটির মুদ্রার দর হ্রাস পেলো। মার্কিন চাকরি প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়ায় এ নিম্নমুখিতা সৃষ্টি হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে কম চাকরি হয়েছে। তবে মজুরি বেড়েছে। এতে স্পষ্ট, ইউএস শ্রমবাজার মন্থর রয়েছে। ফলে ডলারের মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে।
তবে এ নিম্নমুখিতা সাময়িক বলে মনে হচ্ছে। কারণ, চলতি মাসের শেষ দিকে সুদের হার বাড়াতে পারে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এমনটি হলে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার মূল্যমান বেড়ে যাবে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার জনের। যেখানে পূর্বাভাস ছিল ২ লাখ ২৫ জনের। আলোচ্য সময়ে মার্কিন মুলুকে বেকারত্ব হার কমেছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সেখানে মে’তে কমেছিল ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
এ পরিস্থিতিতে ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০২ দশমিক ৪১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এতে ইউরোর মান বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মুদ্রাটির মূল্য স্থির হয়েছে ১ ডলার ০৯৪৮ সেন্টে।
গ্রিনব্যাকের বিপরীতে জাপানি মুদ্রা শক্তিশালী হয়েছে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। প্রতি ডলারের দর নিষ্পিত্তি হয়েছে ১৪২ দশমিক ২০ ইয়েনে।
অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। এক অসি কারেন্সির দর দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৬৬৮১ ডলারে।
তবে অফশোরে চীনা মুদ্রার দরপতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। ডলারপ্রতি মান নির্ধারণ হয়েছে ৭ দশমিক ২২৫৭ ইউয়ানে।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক ম্যাককুয়ারি’র বৈশ্বিক ফোরেক্স ও মুদ্রা কৌশলবিদ থিঁয়েরি উইজম্যান বলেন, সামনে সুদের হার বাড়াবে ফেড। ফলে খুব বেশি ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটবে না।
বিশ্ববাজারে ১১ বছরের মধ্যে চালের দাম সর্বোচ্চ, আরও বাড়ার আশঙ্কা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।