জুমবাংলা ডেস্ক : মানুষের পরিচর্যায় জীবন ফিরে পাওয়া বাঘের বাচ্চা জো বাইডেন অবশেষে স্থায়ীভাবে খাঁচায় ফিরেছে। প্রথমে মেনে নিতে না চাইলেও ধীরে ধীরে সৎ বোন করোনার সঙ্গে দুষ্টুমি আর খামচাখামচি করেই এখন কাটছে সময়।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) জো বাইডেনকে বাঘের খাঁচায় দেখা গেছে বেশ উৎফুল্ল মেজাজেই। নিয়মিত খাবারও খাচ্ছে বলে জানালেন পরিচর্যাকারী মো. মহিন উদ্দিন।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর বাঘিনী জয়ার ঘরে জন্ম নেওয়া তিনটি শাবকের মধ্যে দুধ না পেয়ে ১৫ নভেম্বর একটি এবং ১৮ নভেম্বর আরেকটি শাবক মারা যায়। এ অবস্থায় তৃতীয় শাবকটি বাঁচাতে খাঁচা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। চিড়িয়াখানার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসাইন শুভ’র তত্ত্বাবধানে শাবকটির চিকিৎসা ও দিনে তিনবার ফিডারে ছাগলের দুধ খাওয়ানো হয় । নাম রাখা হয় ‘জো বাইডেন’। বড় হতে থাকলে খাবারের তালিকায় যোগ হয় প্রতিদিন ৮০০ গ্রাম মাংস।
২০২১ সালের ২১ এপ্রিল সাড়ে পাঁচ মাস বয়সে জো বাইডেনকে খাঁচায় দেওয়া হলেও অন্য বাঘের সংস্পর্শে যেতে চায়নি। তাই পরিচর্যাকারীরা প্রায় প্রতিদিন বিকালে খাঁচামুক্ত করে এটিকে সময় দিয়েছে। গত ১৪ মে থেকে খাঁচায় নিজেকে মানিয়ে নিতে শুরু করে ।
ডা. শাহাদাত হোসাইন শুভ বাংলানিউজকে বলেন, জন্ম থেকে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া শেষ করে মানুষের সংস্পর্শে থাকা জো বাইডেন এখন বাঘ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। তার বয়স ১ বছর ২ মাস পার হয়েছে। করোনাকালে জন্ম নেওয়া শাবকটিকে বাঁচানোই ছিল চ্যালেঞ্জ। এক মাস ধরে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে ১০ মিনিটের জন্য সৎ বোন ‘করোনা’র খাঁচায় রাখা হতো। কিন্তু সে মারামারি করতো। প্রতিদিন জো বাইডেনকে খাঁচায় পাঠিয়ে আবার নিয়ে আসা হতো। ধীরে ধীরে সে নিজেকে অন্য বাঘের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে জো বাইডেন একই খাঁচায় করোনা’র সঙ্গে থাকছে।
তিনি বলেন, আগে এই অভিজ্ঞতা ছিল না, তার ওপর দীর্ঘ একবছরের সফর সত্যিই অসাধারণ ছিল। অনেক কষ্ট ও ধৈর্য ছিল এই যাত্রায়। চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের মানুষেরও এই বাঘের জন্য ভালোবাসা ছিল। সবচেয়ে অসাধারণ ছিল জো বাইডেন এর সাহস ও বাঘ হয়ে বাঁচার তীব্র ইচ্ছা।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ৩৩ লাখ টাকায় বাঘ রাজ-পরী দম্পতিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। বর্তমানে এখানে বাঘের সংখ্যা ১২টি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।