জুমবাংলা ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের গ্রেপ্তার নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে দেশে যে অরাজকতা ও রক্তপাত হয়েছে তার দায় একান্তই সরকার, সরকারি দল এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের। এখন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে উল্টো হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের পর্যুদস্ত করতে লিপ্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না দাবি করেন, ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সরকারি দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা হেফাজতের কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মুসুল্লিদের উপর হামলা করে প্রথমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে তা স্পষ্ট দেখা গেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যে অরাজকতা তৈরি হয়েছে এবং মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ দায় সরকারকে নিতে হবে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এসব ঘটনার পর দায়ের করা মামলা এবং ২০১৩ সালের মামলাসহ বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতাদের, দেশের আলেম সমাজের নেতাদের গণহারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। একজন নেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জাতীয় সংসদে যেভাবে রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিশোদগার করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে- সরকারি দল হেফাজতে ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাদেরকে পর্যুদস্ত করতে চাইছে। কিন্তু এসব করে লাভ হবে না। তাই অবিলম্বে গ্রেপ্তার আলেম ওলামাদের মুক্তি দাবি করছি।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের উদাসীনতার উল্লেখ করে মান্না বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, হাসপাতালে অক্সিজেন, আইসিইউ বেড নিশ্চিত করা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুইবেলা খাবার নিশ্চিত করা এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে মামলা, হামলা, রিমান্ড, অত্যাচার, নির্যাতনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে তারা। দেশের সাধারণ জনগণ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তা মেনে নেবে না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ প্রতিবাদী হয়ে উঠছে। অচিরেই গণ জোয়ার তৈরি হবে এবং সেই জোয়ারে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা ভেসে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।