শুক্র গ্রহকে এক সময় মঙ্গল-আকারের একটি বিশাল বস্তু আঘাত করেছিল। ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখের গবেষকরা এই দাবি করেছেন। তাদের নতুন গবেষণাপত্রটি Nature Astronomy জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এই সংঘর্ষই শুক্র গ্রহের বিপরীত দিকে ঘূর্ণন এবং চাঁদ না থাকার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্র গ্রহ আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে রহস্যময় গ্রহ। এটি পৃথিবীর সমান আকারের হওয়া সত্ত্বেও এর পরিবেশ অত্যন্ত বৈরী। গ্রহটির ঘূর্ণন অন্যান্য গ্রহের বিপরীত দিকে। এই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণ দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা ছিল। নতুন এই গবেষণা সেই রহস্য ভেদ করতে পারে।
গবেষণা পদ্ধতি এবং সিমুলেশন
গবেষক দলটি ব্যবহার করেছেন Smooth Particle Hydrodynamics (SPH) নামের একটি শক্তিশালী কম্পিউটেশনাল মডেল। এই মডেলের মাধ্যমে তারা গ্রহীয় সংঘর্ষের সিমুলেশন করেছেন। তারা বিভিন্ন আকার এবং গতির সংঘর্ষকারী বস্তুর প্রভাব পরীক্ষা করেন।
সিমুলেশনে দেখা গেছে, একটি Mars-sized impactor (মঙ্গল-আকারের সংঘর্ষকারী) শুক্র গ্রহের ঘূর্ণন গতিকে সম্পূর্ণ উল্টে দিতে পারে। এটি গ্রহটির ঘূর্ণন অক্ষেও পরিবর্তন আনে।সংঘর্ষের পর তৈরি হওয়া debris (ধ্বংসাবশেষ)的大部分再次 গ্রহের সাথে মিশে যায়। ফলে কোনও চাঁদ তৈরি হয় না।
কেন এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ?
এই গবেষণা planetary formation (গ্রহ গঠন) সম্পর্কে আমাদের understanding (বুঝতে পারা)কে সমৃদ্ধ করে। এটি explains (ব্যাখ্যা করে) শুক্র গ্রহ Earth’s evil twin (পৃথিবীর মন্দ যমজ) নামে পরিচিত। গ্রহটির পৃষ্ঠদেশ এবং এর ভূতাত্ত্বিক activity (সক্রিয়তা) নিয়েও insights (অন্তর্দৃষ্টি) করে।
এই findings (অবিষ্কার) future missions (ভবিষ্যত মিশন) like NASA’s VERITAS এবং ESA’s EnVision এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। মিশনগুলি শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠ এবং অভ্যন্তরীণ structure (গঠন) করবে।
শুক্র গ্রহ: একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয়
শুক্র গ্রহ সূর্য থেকে দ্বিতীয় গ্রহ। এটি solar system (সৌরজগত)的 hottest গ্রহ। এর পৃষ্ঠের temperature (তাপমাত্রা) 465°C পর্যন্ত পৌঁছায়। গ্রহটির atmosphere (বায়ুমণ্ডল) carbon dioxide (কার্বন ডাই অক্সাইড) এর。
শুক্র গ্রহে pressure (চাপ) পৃথিবীর surface (পৃষ্ঠ) চাপের চেয়ে 92 গুণ বেশি। এটি sulfuric acid (সালফিউরিক অ্যাসিড) এর clouds (মেঘ) দ্বারা আবৃত। গ্রহটিকে মানব জন্য অত্যন্ত কঠিন করে তোলে।
নতুন এই গবেষণা planetary science (গ্রহ বিজ্ঞান) এর ক্ষেত্রে一বড় পদক্ষেপ। এটি প্রমাণ করে যে **একটি Mars-sized collision (মঙ্গল-আকারের সংঘর্ষ)** শুক্র গ্রহকে গঠন করতে করেছে। এই গবেষণা সৌরজগতের ইতিহাস পুনরুদ্ধার করতে help করবে।
জেনে রাখুন-
Q1: শুক্র গ্রহের ঘূর্ণন দিক অন্য গ্রহদের থেকে আলাদা কেন?
গবেষণা অনুযায়ী, মঙ্গল-আকারের একটি বস্তুর সংঘর্ষের ফলেই শুক্র গ্রহ বিপরীত দিকে ঘুরতে শুরু করে।
Q2: শুক্র গ্রহের কি কখনো চাঁদ ছিল?
গবেষকদের মতে, ওই সংঘর্ষের পরে চাঁদ তৈরি হওয়ার মতো পর্যাপ্ত ধ্বংসাবশesz باقی থাকেনি। সবকিছুই গ্রহের সাথে পুনরায় মিশে যায়।
Q3: শুক্র গ্রহকে পৃথিবীর evil twin বা মন্দ যমজ কেন বলা হয়?
আকার, ভর এবং ঘনত্বে পৃথিবির তা সত্ত্বেও এর ভয়ঙ্কর পরিবেশের জন্যেই এই নাম দেওয়া হয়েছে।
Q4: এই গবেষণা কি ভবিষ্যতে শুক্র গ্রহে মিশন পাঠাতে সাহায্য করবে?
হ্যাঁ, গ্রহটির গঠন এবং ইতিহাস বুঝতে পারলে ভবিষ্যতের মিশনগুলিভাবে ডিজাইন করা সম্ভব হবে।
Q5: শুক্র গ্রহে জীবন আছে কি?
গ্রহটির পৃষ্ঠদেশ অত্যন্ত গরম এবং অম্লীয়। তাই পৃষ্ঠে。 তবে, বায়ুমণ্ডলেরlayer (স্তর) এ জীবনের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।