জুমবাংলা ডেস্ক: অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি রাজধানীর মীরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের ১১ হাজার বর্গফুটের একটি তলার মাসিক ভাড়া ৮৩ টাকা ৩৩ পয়সা । একাত্তর টিভির প্রতিবেদক ফারজানা রূপা-এর প্রতিবেদনে বিস্তারিত উঠে এসেছে।
২৪ বছরের চুক্তিতে ঠিক এই অংকেই ভবনের ওই ফ্লোরটি ভাড়া দেয়া হয়েছে। চুক্তিতে উল্লেখিত ভাড়াটের নাম ড. মুহাম্মদদ ইউনূস।
তাঁর ব্যক্তিগত প্রচারণার প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টারের কার্যক্রমের জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত এটি ভাড়া দেয়া হয়েছে।
মীরপুরে দুই নম্বর সেক্টরে ১৬ তলা ভবনটির গ্রামীণ ব্যাংক বাদে অন্য ফ্লোরগুলো সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেয়া।
গড়ে ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত বর্গফুট প্রতি ভাড়ায় সেই সব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে। তবে, ব্যতিক্রম ১৬ তলা। টপ ফ্লোর।
চুক্তি অনুযায়ী, ভাড়াটের নাম ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০০৮ সালের ৩ আগষ্ট যখন এই তলাটি ইউনূস সেন্টারের জন্য ভাড়া নেয়া হয় তখন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি ছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। দ্বিতীয় পক্ষে তারই সই।
ভাড়ার মেয়াদ ২৪ বছর। শেষ হবে ২০৩২ সালে। মোট জায়গা ১১ হাজার বর্গফুট। বছরে ১০০০ টাকা ভাড়ায় ২৪ বছরে ইউনূস সেন্টারের ভাড়া ২৪ হাজার টাকা।
সেই হিসাবে প্রতি মাসে ফ্লোরটির জন্য ৮৩ টাকা ৩৩ পয়সা ভাড়া গুণছেন ড. ইউনূস। এই অংকে বিস্ময় প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ শাখার এই নির্বাহী প্রধান বিষয়টি খতিয়ে দেখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, অন্য ভাড়াটেদের সাথে অসম এই চুক্তির একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ইউনূস সেন্টার বিশেষ কোনো আবেদন করে ভাড়া কমানোর বন্দোবস্ত করে থাকতে পারে।
কিন্তু, নিজে এমডি আবার নিজেই গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের ভাড়াটে হিসাবে নজিরবিহীন কম টাকায় ভাড়া নেওয়া, বিষয়টা স্বাধীন তদন্ত করে দেখার আহবানও জানান তিনি।
দেশে বিদ্যুতের অভাব নেই, উৎপাদনের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৯৭৬ সাল থেকে ২০১১ সালের মে পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। আর ইউনূস সেন্টারের মূল কাজ সামাজিক ব্যবসাসহ ইউনূসের পক্ষে প্রচারণা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।