ডুবিরটের গরম হাওয়ায় ভেসে আসছিল হাজার হাজার উদ্বেলিত হৃদয়ের ধ্বনি। ডুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিষ্প্রাণ বাতাসও যেন দাঁড়িয়ে গিয়েছিল সেদিন। ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮। বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টাই ম্যাচ – ক্রিকেট বিশ্বকে স্তব্ধ করে দেওয়া এক অকল্পনীয় লড়াইয়ের সাক্ষী হয়ে থাকবে চিরকাল। যখন স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছিল সমান রান, যখন শেষ বলের পর মাঠে নেমে এসেছিল নিস্তব্ধতার সুনসান নিঃশ্বাস, সেদিন ক্রিকেট জয়-পরাজয়ের গণ্ডি পেরিয়ে ঠাঁই নিয়েছিল অনন্তকালের কিংবদন্তিতে। এই লড়াই ছিল হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত এক অগ্নিপরীক্ষা, যেখানে প্রতিটি রান রক্ত দিয়ে কেনা, প্রতিটি উইকেট যুদ্ধের সম্মান। অবিস্মরণীয় ক্রিকেট ম্যাচের হাইলাইটস বলতে গেলে সবার আগে চোখে ভাসে এই টাই ম্যাচের উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্যপট, যা এশিয়া কাপের ইতিহাসে লেখা হয়েছে অমোঘ অক্ষরে।
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টাই ম্যাচ: ক্রিকেট ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়
সেদিনের ম্যাচ শুরু হয়েছিল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং দিয়ে। নাজমুল হোসেন শান্তের বোলিং জাদুতে লঙ্কান ইনিংস যেন দিশেহারা! প্রথম ওভারেই টপ-অর্ডার ধসে পড়ে ২ উইকেটে মাত্র ১ রান। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বোলাররা মাঠে নামিয়েছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। মুস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ার-কাটার, মেহেদী হাসানের অফস্পিনের জাল – সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ড ৮৩ রানে ৫ উইকেটে আটকে যায়। কিন্তু ক্রিকেটের অলৌকিকতা তখনও বাকি! কুশল পেরেরার একক যুদ্ধ (৬১ বলে ৬১ রান) এবং দীনেশ চান্ডিমালের (৪৬ রান) সাহসী জুটি দলকে ১২৪ রানে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৯ রান।
বাংলাদেশের জবাব? শুরুটা ছিল ভয়াবহ! তামিম ইকবাল (২৭) ও লিটন দাস (১) দ্রুত বিদায় নিলে ইনিংস হুমকির মুখে। কিন্তু তখনই মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। তার সাথে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনের মিলিত প্রতিরোধে বাংলাদেশের জাহাজ আবারও গতি পায়। রিয়াদের ৩২ রানের পরও মুশফিকুর রেখে যান অমূল্য ভিত্তি। কিন্তু শেষ তিন ওভারে ৩৬ রান দরকার! মুশফিকুরের ব্যাটে তখন আগুন – লাসিথ মালিঙ্গাকে ছয় মেরে চাপ বাড়ান। শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৮ রান। লাসিথ মালিঙ্গার বল, মুশফিকুর স্ট্রাইক! প্রথম বল: ১ রান। দ্বিতীয় বল: মাহমুদউল্লাহ ক্যাচ আউট! তৃতীয় বল: মুশফিকুর ডিপ মিড-উইকেটে বাউন্ডারি! স্কোর সমান! চতুর্থ বল: ১ রান নিতে গিয়ে মুশফিকুর রান আউট! মাঠ উত্তাল! স্কোরবোর্ডে জ্বলে ওঠে – বাংলাদেশ ১৫৯/৯! টাই!
কী ঘটেছিল শেষ মুহূর্তে?
- শেষ বল: মুশফিকুরের ড্রাইভ, বল যায় ডিপ মিড-উইকেটে
- ফিল্ডার ধনঞ্জয় ডি সিলভা থ্রো করেন উইকেটের দিকে
- উইকেটকিপার কুশল পেরেরা ভাঙেন স্টাম্প
- মুশফিকুর ক্রিজ ছুঁতে পারেননি মাত্র ইঞ্চিখানেক!
- টাই ম্যাচের নাটকীয় সমাপ্তি ইতিহাস সৃষ্টি করে!
মুশফিকুর রহিমের হিরোইক শতক: যখন ব্যাটে মিশেছিল হৃদয়
এই অবিস্মরণীয় ক্রিকেট ম্যাচের হাইলাইটস-এর কেন্দ্রে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ৭২ বলে অপরাজিত ৯৯ রানের ইনিংসটি ছিল শুধু পরিসংখ্যান নয়, ছিল এক পরাক্রমশালী মানসিক লড়াইয়ের প্রতীক। ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশ যখন ২ উইকেটে ১২ রান, তখন থেকেই তিনি কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন দায়িত্ব। কৌশলগত সুড়সুড়ি, সময়োপযোগী রোটেশন, আর স্ট্রাইক রেট মেইনটেন করার অসামান্য ক্ষমতা – সব মিলিয়ে তার ইনিংস ছিল মাস্টারক্লাস। শেষ ওভারের আগে তিনি ৮৫ রানে। মালিঙ্গার প্রথম বলেই সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক ফেরত আনেন। দ্বিতীয় বল: মাহমুদউল্লাহর আউটে মাঠে নেমে আসে হতাশা।
তৃতীয় বল: ইতিহাসের সেই শট! মুশফিকুর ব্যাকফুটে দাঁড়িয়ে মালিঙ্গার ফুল-লেন্থ বলটিকে ডিপ মিড-উইকেটে ছক্কার রূপ দেন! ৬ রান! সমান স্কোর! স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ! মুশফিকুরের চোখেমুখে উজ্জ্বল আত্মবিশ্বাস। কিন্তু পরের বলেই ট্র্যাজেডি! নিজেই রান আউট হয়ে তিনি স্তব্ধ করে দেন সবার ভাষা। মাটিতে মাথা রেখে কান্নায় ভেঙে পড়া সেই মুহূর্ত ক্রিকেট বিশ্ব কখনো ভুলবে না। তার এই ৯৯ রান এশিয়া কাপ ২০১৮-এর সেরা ইনিংস হিসেবে স্বীকৃত, যা ICC রেকর্ড বুকেও ঠাঁই পেয়েছে (ICC Match Highlights)।
মহেন্দ্র সিং ধোনির নিষ্পত্তিমূলক রান আউট: টার্নিং পয়েন্ট
ম্যাচের আরেক অবিস্মরণীয় হাইলাইট ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির জাদুকরী উইকেটকিপিং। বাংলাদেশ যখন ৩৩ ওভারে ১০০ রানের কাছাকাছি, মুশফিকুর-মাহমুদউল্লাহ জুটি যখন ইনিংস গুছিয়ে নিচ্ছে, তখনই ধোনি ঘটান ম্যাচ পাল্টে দেওয়া ঘটনা। মুশফিকুরের কভার ড্রাইভে মাহমুদউল্লাহ রান নিতে ছুটলেন। বল গিয়েছিল ডিপ এক্সট্রা কভারে। ফিল্ডার ফিরিয়ে দিলেন ধোনির হাতে। আর ধোনির থ্রো? সরাসরি স্টাম্পে! বিশ্বের দ্রুততম স্টাম্পিং হিসেবে খ্যাত এই কিপার ব্লাইন্ডসাইডে থ্রো করে ভেঙে দিলেন উইকেট। মাহমুদউল্লাহ ক্রিজ ছুঁতে পারেননি। এই রান আউটে বাংলাদেশ হারায় মূলমন্ত্রী, এবং শ্রীলঙ্কা ফিরে পায় প্রবল মনোবল। ধোনির এই নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, ক্রিকেটে উইকেটকিপিং শুধু ক্যাচ নয়, গেম-চেঞ্জিং মোমেন্টও বটে।
ডুকেটের জাদু: মাশরাফির কৌশলে লঙ্কান ধস
এই টাই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ ছিল ভয়ঙ্কর রূপে সুসংগঠিত। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে টিম পরিকল্পনা মোতাবেক ফুল-কোর্স মেনু পরিবেশন করেছিল লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের জন্য। নাজমুল হোসেন শান্ত (২/২১) ও মুস্তাফিজুর রহমান (২/৩৯) ওপেনিংে আক্রমণাত্মক লাইন-লেন্থ বজায় রেখে টপ-অর্ডার ধ্বসে ফেলেন। মেহেদী হাসান মিরাজের অফস্পিনের জালে আটকে যান থারিমান্না (২৭) ও কুশল পেরেরা। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল মাশরাফির ডুকেট ফিল্ড সেটিং। তিনি মিড-অফ ও কভার রিজিয়নে ক্লোজ ক্যাচার বসিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন, যার ফলস্বরূপ উপুল থারাঙ্গা (২৭) ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (১৬) রিস্কি শট খেলে আউট হন।
বোলিং পারফরম্যান্সের মূল পরিসংখ্যান:
- নাজমুল হোসেন শান্ত: ৪ ওভার, ২১ রান, ২ উইকেট (ইকোনমি ৫.২৫)
- মুস্তাফিজুর রহমান: ৪ ওভার, ৩৯ রান, ২ উইকেট
- মাশরাফি বিন মুর্তজা: ৪ ওভার, ২৩ রান, ১ উইকেট (ইকোনমি ৫.৭৫)
- মেহেদী হাসান: ৪ ওভার, ২৩ রান, ২ উইকেট
টাই-ব্রেকারের নিয়ম: বিতর্ক ও উত্তেজনার জন্মদাতা
এই অবিস্মরণীয় ম্যাচের শেষ পরিণতি নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। টাই হওয়ার পর সুপার ওভার না দিয়ে সরাসরি টাই-ব্রেকার নিয়ম (গ্রুপ পর্বে পয়েন্ট ভাগাভাগি) প্রয়োগে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আইসিসি টুর্নামেন্ট রেগুলেশন অনুযায়ী, গ্রুপ স্টেজে টাই হলে উভয় দল পায় ১ পয়েন্ট। কিন্তু সেমিফাইনালে জায়গা নির্ধারণে এটি প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশ নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় তারা সেমিফাইনালে যায়, শ্রীলঙ্কা বিদায় নেয়। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা এই নিয়মকে “অ্যান্টিক্লাইম্যাক্টিক” আখ্যা দেন। মাশরাফি মুর্তজা ম্যাচ পর বলেন, “ক্রিকেটে উইকেটের সংখ্যা দিয়ে জয় নির্ধারণ যুক্তিহীন।” এই বিতর্কই পরবর্তীতে আইসিসিকে সুপার ওভার নিয়ম সংযোজনে প্রভাবিত করে।
টাই ম্যাচের প্রভাব: বাংলাদেশ ক্রিকেটের মনস্তাত্ত্বিক বিপ্লব
এই একটি ম্যাচ বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে মনোবলের জলবিভাজিকা তৈরি করে। টাই হওয়া সত্ত্বেও দলটি সেমিফাইনালে যায় এবং ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করে। মুশফিকুরের ৯৯ রানের পর তার আত্মবিশ্বাস চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। পরের বছর ২০১৯ বিশ্বকাপে তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এর প্রমাণ। তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এটি ছিল প্রেরণার উৎস। মেহেদী হাসান, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেনের মতো তারকারা এই ম্যাচ থেকে শেখা চাপ সামলানোর ক্ষমতা পরবর্তীতে কাজে লাগান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই ম্যাচের পর থেকেই মেন্টাল স্ট্রেন্থ কোচ নিয়োগে জোর দেয় (BCB Mental Conditioning)।
জেনে রাখুন
১. এই টাই ম্যাচটি কোন টুর্নামেন্টের অংশ ছিল?
এই অবিস্মরণীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে। ডুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৯ সেপ্টেম্বর এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচ। টাই হওয়ার পর বাংলাদেশ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থেকে সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়।
২. মুশফিকুর রহিম শেষ পর্যন্ত কত রান করেছিলেন?
মুশফিকুর রহিম এই ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ৯৯ রান (৭২ বল, ৯ চার, ১ ছক্কা)। কিন্তু শেষ ওভারে রান আউট হওয়ায় তিনি সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তার এই ইনিংসটি এশিয়া কাপের ইতিহাসে সেরা ইনিংসগুলোর মধ্যে স্থান পেয়েছে।
৩. টাই ম্যাচ হওয়ার পর কোন দল এগিয়ে গিয়েছিল?
গ্রুপ পর্ব হওয়ায় টাই ম্যাচের পর দু’দলই পেয়েছিল ম্যাচে ১ পয়েন্ট করে। তবে বাংলাদেশ নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। ফলে তারা সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে, আর শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়।
৪. শ্রীলঙ্কার পক্ষে কে কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন?
শ্রীলঙ্কার পক্ষে কুশল পেরেরা ৬১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এছাড়া দীনেশ চান্ডিমাল ৪৬ রান ও থারিমান্না ২৭ রান করেন। বোলিংয়ে লাসিথ মালিঙ্গা ২ উইকেট নেন, আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ১ উইকেট শিকার করেন।
৫. এই ম্যাচের পর টাই ব্রেকার নিয়মে কি পরিবর্তন এসেছে?
হ্যাঁ, এই ম্যাচের পর টাই ব্রেকার নিয়ম নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের পর ICC T20I ম্যাচে সুপার ওভার চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। এখন গ্রুপ পর্বেও সুপার ওভারের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়।
৬. বাংলাদেশ সেমিফাইনালে কাকে হারিয়েছিল?
সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ভারত ৭ উইকেটে জয়লাভ করলেও বাংলাদেশ দারুণ প্রতিরোধ গড়ে। রোহিত শর্মার ১২৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশ ১৭ রানে হেরে যায়।
এই অবিস্মরণীয় ক্রিকেট ম্যাচের হাইলাইটস শুধু একটি খেলার ফলাফল নয়, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেট সত্তার রূপান্তরের মাইলফলক। মুশফিকুরের অশ্রুসিক্ত ৯৯ রান, মাশরাফির কৌশলী নেতৃত্ব, ধোনির নাটকীয় রান আউট – প্রতিটি মুহূর্ত প্রমাণ করে ক্রিকেট কতটা অনিশ্চিত ও আবেগঘন খেলা। এই টাই ম্যাচ আমাদের শিখিয়েছে, জয় নয়, লড়াইয়ের অদম্য স্পিরিটই আসল বিজয়। ডুবাইয়ের সেই সন্ধ্যায় রক্ত, ঘাম আর অশ্রুতে লেখা ইতিহাস আজও অনুপ্রেরণা জোগায় কোটি বাঙালিকে। ক্রিকেটাররা যখন সীমাহীন চাপে ইটের মতো দৃঢ় থাকেন, তখনই জন্ম নেয় অবিস্মরণীয় ক্রিকেট ম্যাচের হাইলাইটস। এই লড়াইয়ের উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে আজকের তারকারা। আপনিও যদি এই ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলো আবার দেখতে চান, ICC-এর অফিসিয়াল হাইলাইটস দেখুন – কারণ কিছু লড়াই শুধু ম্যাচ জিততে নয়, হৃদয় জিততেই জন্ম নেয়!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।