লাইফস্টাইল ডেস্ক : অভিজিৎ বাগচী, ছোট থেকেই যার স্বপ্ন ছিলো আকাশচুম্বী। কুষ্টিয়া জেলার আমলাপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সুজিত কুমার বাগচী আর মাতা কামিনী রাণী ঘোষ। ছোট থেকেই তার স্বপ্ন ছিলো দরিদ্র, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। এইদিক থেকে তাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিতেন তাঁর মা-বাবা। মা বাবার উৎসাহতেই অভিজিৎ ছোট থেকে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন দেখতেন। এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পড়াশোনা শেষ করে এডমিশন কোচিং করেন মেডিকেলের জন্য।
“এদেশে ডাক্তার হয়তো অনেক আছেন, কিন্তু গ্রামপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা এখনো শূন্যের কোঠায়, এই দেশের মানুষদের কিভাবে স্বাস্থ্য সচেতন করা যায়,কিভাবে মানুষকে স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যসচেতনতা মূলক তথ্য জানানোর মাধ্যমে তাদেরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করা যায়, কিভাবে রোগীব্যাধিগ্রস্থ মানুষদের স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরিয়ে আনা যায়”, এগুলো ছিলো ছোট থেকেই তাঁর নিত্যনৈমত্তিক স্বপ্ন।
অবশেষে অভিজিৎ বাগচী তাঁর স্বপ্নপূরণের একটি ধাপে পা রাখেন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চান্স পান এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ডাক্তারি পড়ার সেই ছোটবেলার ইচ্ছা ও স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করলো। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি গ্রামে আসলে গ্রামের মানুষদের মাঝে অনেকটা সময় অতিবাহিত করেন। তাদেরকে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন পরামর্শ দেন। সুস্থ সুন্দর থাকার উপায় বলেন।কিভাবে চললে তারা নিজেদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থসুন্দর রাখতে পারবেন সেসব পরামর্শ দেন।
ডাক্তাররা গ্রামে যায় না, এমন অভিযোগ প্রায় সবারই। মেডিকেল সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনগুলোও হয় সাধারণত শহরের দিকেই। কিন্তু অভিজিৎ বাগচী তার নিজ উদ্যোগে গ্রামে স্বাস্থ্যসেবামূলক অনেক ক্যাম্পেইন করেন মাঝেমধ্যেই, মেডিকেল কলেজে একটু ছুটি পেলেই। আর ডায়াবেটিস নির্ণয়, রক্তচাপ পরীক্ষা এসবও নিজ এলাকায় তার বিভিন্ন সময়ে করা মেডিকেল ক্যাম্পেইনগুলোর অন্তর্ভুক্ত। দেশের সকল প্রান্তের সকল মানুষকে একযোগে স্বাস্থ্যকোঠার আওতায় আনা, এটিই বড় চ্যালেঞ্জ। এবং এই চ্যালেঞ্জকে শক্তভাবে নিতেই তিনি দৃঢ়সংকল্প।
তিনি বলেন, “মানুষের মুখে নয় বরং মনে জায়গা করে নেয়ার মধ্যেই আসল স্বার্থকতা। “অভিজিৎ বাগচী তাঁর এই স্বার্থকতার জায়গা পূরণ করতে, নিজ এলাকায় কুষ্টিয়াবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে ডাক্তারি পড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।