অভিবাসনে চমক: হাম্পব্যাক তিমির দীর্ঘতম যাত্রার রহস্য উন্মোচন

হাম্পব্যাক তিমি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে জলের দৈত্যকার তিমিও তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা একটি হাম্পব্যাক তিমির দীর্ঘতম ও অস্বাভাবিক মাত্রার অভিবাসনের তথ্য রেকর্ড করেছেন। সমুদ্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ার কারণেই তিমিসহ অনেক প্রাণী তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

হাম্পব্যাক তিমি

যে হাম্পব্যাক তিমির আবাসস্থল পরিবর্তনের তথ্য পেয়ে বিজ্ঞানীরা চমকে গেছেন, সেটি ২০১৭ সালে কলম্বিয়ার কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা গিয়েছিল। সেই একই তিমি ২০২২ সালে ভারত মহাসাগরের জাঞ্জিবারের কাছে দেখা যায়। অর্থাৎ প্রথমবার দেখার পরে ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে দেখা মিলেছে সেই হাম্পব্যাক তিমি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই অভিযাত্রার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ রয়েছে। সম্ভবত খাদ্য কমে যাওয়ার কারণে বা নতুন সঙ্গী খুঁজে পেতে এমন দূরত্ব অতিক্রম করেছে তিমিটি।

হাম্পব্যাক তিমির আবাসস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে তানজানিয়ার বিজ্ঞানী একাটেরিনা কালাশনিকভ বলেন, চিত্তাকর্ষক ঘটনা এটি। এমন অস্বাভাবিক পরিবর্তন পরিযায়ী প্রজাতির প্রাণীর মধ্যেও দেখা যায় না। এটি সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘতম দূরত্ব অতিক্রম করা হাম্পব্যাক তিমি। হাম্পব্যাক তিমি প্রায় সব মহাসাগরেই দেখা যায়। তারা প্রতিবছর দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করে। যেকোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর দীর্ঘতম ভ্রমণ ও স্থানান্তরের জন্য এমন তিমি আলোচিত। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে প্রজননস্থল থেকে শীতল সমুদ্রে খাবারের খোঁজে এসব তিমি বেশি ভ্রমণ করে থাকে।