জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের এক দিন পর স্থানীয় সালিসের মাধ্যমে অভিযুক্ত তরুণের সঙ্গে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহর ধার্ষ করে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোরীর কাবিন করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত মন্টু কালাইপাড় গ্রামের শহীদ মোল্লার ছেলে।
ধর্ষিতার পরিবার এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে গত বুধবার (১৯ মে) গফরগাঁও উপজেলার ধামাইল গ্রামের ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মন্টু মিয়া (২০) পার্শ্ববর্তী কালাইপাড় গ্রামে বাসিন্দা।
ওই দিন (১৯ মে) প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত মন্টু তাদের বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে মন্টু ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মন্টুর চাচাতো ভাই সজীব ধর্ষিত কিশোরীকে তাদের বাড়ির সামনে ফেলে চলে যায়। পরে ধর্ষিতার কান্না শুনে বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে তাকে উদ্ধার করে।
ধর্ষিতার পিতা (৩৫) জানায়, এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নেই। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শে সালিস-দরবার করে আপোষ মিমাংসা করে মন্টু মিয়ার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দেই।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।