বিনোদন ডেস্ক : ২০০৭ সালে বলিউডে (Bollywood) বচ্চন পরিবারে বেজে ওঠে খুশির সানাই। বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাইকে (Aishwarya Rai) ঘরের বউ হিসেবে বরণ তোলেন অমিতাভ বচ্চন এবং তার স্ত্রী জয়া বচ্চন। বলিউডের এই হাইপ্রোফাইল বিয়ে নিয়ে চর্চা আজও চলে। আজ এত বছর পেরিয়েও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের (Abhishek Bachchan) সম্পর্কের গভীরতা আগের মতই আছে।
অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। শোনা যায় ববি দেওল নাকি তাদের প্রথম আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন। তার আগে অবশ্য দুজনেই অন্যত্র সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। সালমানের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার প্রেম তখন বলিউডের হট টপিক। অন্যদিকে অভিষেক তখন সদ্য করিশ্মার সঙ্গে বিচ্ছেদের যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া একে অপরের কাছে আসতে থাকেন।
অবশ্য আলাপের ঠিক তিন বছর বাদে ২০০০ সালে ‘ঢাই আকসার প্রেম কি’ ছবি থেকেই নাকি তাদের বন্ধুত্ব শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। এরপর ‘কিউ হো গয়া না’ ছবির পর তাদের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় বলিউডে। কয়েক বছরের মধ্যে অমিতাভ-জয়া অভিষেক-ঐশ্বরিয়া চার হাত এক করে দেন। কয়েক বছর পর তাদের এক কন্যা সন্তানেরও জন্ম হয়, যার বয়স এখন ৯ বছর।
অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মধ্যে কে বেশি সফল? পারিশ্রমিকের বিচারে কে বেশি এগিয়ে রয়েছেন? এই প্রসঙ্গে তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকে। বলিউডে গুঞ্জন, ঐশ্বরিয়া নাকি অভিষেকের থেকে অনেক বেশি পারিশ্রমিক পান। এমনকি একই ছবিতে অভিনয় করেও নাকি অভিষেকের চেয়ে ঐশ্বরিয়া বেশি পারিশ্রমিক নিয়েছেন বলে জানা যায়। সেই নিয়ে নাকি অভিষেকের আক্ষেপও রয়েছে মনে।
২০১৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানিয়েছিলেন তিনি এবং ঐশ্বর্য এ পর্যন্ত যে ৯ টি ছবিতে কাজ করেছেন তার মধ্যে ৮ টি ছবিতেই নাকি অভিষেকের তুলনায় ঐশ্বর্যর পারিশ্রমিক ছিল বেশি। একটি উদাহরণ তুলে অভিষেক বলেন ‘পিকু’ ছবিতেও নাকি অমিতাভ এবং ইরফান খানের থেকে দীপিকা পাড়ুকোন বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন।
আসলে যে ছবির ক্ষেত্রে যে তারকার ব্র্যান্ড ভ্যালু বেশি তার পারিশ্রমিক তত বেশি হয়। আর এমনিতেই বলিউড তারকাদের মধ্যে ঐশ্বর্যর পারিশ্রমিক অনেক বড় বড় তারকাদের থেকেও বেশি। তাই ঐশ্বর্যর বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া নিয়ে অভিষেক এবং তার সম্পর্কের মধ্যে সরাসরি কখনও সমস্যা হয়নি। দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের ১৫ টি বছর পার করে ফেলেছেন অভিষেক-ঐশ্বর্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।