লাইফস্টাইল ডেস্ক: সবচেয়ে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবারের লিস্টের প্রথমেই রয়েছে ডিম। এটা খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই হাতেগোনা। এখন বাজারে নানা রকম ডিম পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণে সবই কি এক, না কি ফারাক আছে?
‘সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ খাও আন্ডে’ এই প্রবাদটি উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। এই কথাটির গুরুত্বও যথেষ্ট। এতদিন ডিম খেয়ে এসেছেন খেতে ভালো লাগে বলে। সিদ্ধ হোক কি ওমলেট, সব ডিম খুবই সুস্বাদু। কিন্তু শুধু স্বাদ নয়, এবার থেকে ডিম খান উপকারীতার যথার্থতা জেনে।
ডিমে এনার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি। আবার কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রামের মতো, প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম। এছাড়া একটি ডিমে ফসফরাস ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক ১.২৯ মিলিগ্রাম উপস্থিত।
যেভাবে ডিম খেলে ভালো: ডিমের পুষ্টিগুণ সর্বাধিক পাওয়ার জন্য অমলেট নয়, সিদ্ধ ডিম বা পোচ হল আদর্শ। কারণ, অধিক তাপমাত্রায় ডিমের প্রোটিন ও ভিটামিনগুলি নষ্ট হতে থাকে। এ ছাড়া, অমলেট মানে তাতে যোগ হয় অতিরিক্ত তেল যা সর্বোপরি ক্যালোরি ভ্যালু বাড়িয়ে দেয়।
হলুদ কুসুম না কি ছাই কুসুম: হলুদ বা লালচে হলুদ ডিমের কুসুম মানেই পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। আর ছাই রঙের কুসুমে পুষ্টিগুণ নেই এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। পোল্ট্রির মুরগি বেশিভাগ সময়তেই কৃত্রিম খাবার গ্রহণ করে থাকে, তাই এর ডিমের কুসুমের বর্ণ ছাই বা হালকা হলুদ হয় এবং প্রোটিনের তুলনায় ফ্যাটের মাত্রাও বেশ বেশি। অপরদিকে দিশি মুরগি সর্বদাই প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার ফলে এতে প্রোটিন বেশি ও ফ্যাট কম পোল্ট্রির তুলনায়, এবং এর কুসুমের রং লালচে হলুদ রঙের হয়।
ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যায়: এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে আজও মতপার্থক্য আছে। তবে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন গবেষণায় ডায়াবেটিক বা হার্টের অসুখে ডিমের সাদা অংশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলেই বলা হয়েছে। তবে ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল, সোডিয়াম, পটাশিয়াম-সহ বেশ কিছু মিনারেলস অধিক পরিমাণে থাকায় সপ্তাহে তিন দিনের বেশি ডিমের কুসুম খাওয়া উচিত নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।