বিনোদন ডেস্ক : রক্তনালিতে ওষুধের নল লাগানো। ইনস্টাগ্রামে দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু এমন ছবি পোস্ট করায় ফিল্ম জগতে ঝড় ওঠে। অভিনেত্রী এই ছবি পোস্ট করে জানান, মায়োসাইটিস নামের একটি বিরল রোগ বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে।এই রোগে আক্রান্ত হলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলবশত রোগীদের সুস্থ সবল পেশিকে শত্রু ভেবে আক্রমণ করতে শুরু করে। এই বিরল সমস্যায় পেশি দুর্বল হয়ে যায়। শুরু হয় ব্যথাও।
শুধু সামান্থাই নন, বলিউডের বহু তারকা রয়েছেন যাঁরা বিরল রোগে ভুগেছেন। এই তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে ‘বিগ বি’ অমিতাভ বচ্চনের নাম। ১৯৮৪ সালে এক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অমিতাভ। মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিস নামে স্নায়ু ও পেশিতন্ত্রের এক অসুখ ধরা পড়ে অভিনেতার। অমিতাভ জানান, ৪২ বছর বয়সে এই রোগ ঝেড়ে ফেলে উঠে দাঁড়াতে যেন পুনর্জন্ম হয় তাঁর।
হাতে পাঁচটি নয়, তার বদলে ছ’টি আঙুল রয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করলেই সকলে বিনা বাক্যব্যয়ে রাকেশ-পুত্র হৃতিকের নাম নেন। তিনিও এক ভয়ানক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ‘ব্যাং ব্যাং’ ছবির শুটিং চলাকালীন মাথায় চোট পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি, ‘বিক্রম বেধা’ ছবির শুটিংয়ের সময়ও তাঁকে ব্যথা প্রশমক ওষুধ খেতে হত। দু’মাস ধরে আঘাতের জায়গাতেই রক্ত জমাট বাঁধছিল। দু’ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচারের পর মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে তিন দিন রাখা হয়।
ছোটবেলা থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগে ভুগছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, পাঁচ বছর বয়স থেকে অভিনেত্রীর এই রোগ রয়েছে। তবে এই কারণে তাঁর কেরিয়ারে কখনও ছন্দপতন হয়নি।
১৭ বছর বয়সে টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত সোনম কপূর। তাঁর দেহে উপযুক্ত পরিমাণ ইনসুলিন উৎপাদন হয় না। এই রোগ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়, তা নিয়ে বহু জায়গায় আলোচনা করেছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ় বডি ডিসমর্ফিক ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীরা মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। তাঁরা শরীর নিয়ে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে পড়েন, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায়। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, অভিনেত্রী নাকি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। মনোবিদের সাহায্যে এই রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
দক্ষিণী অভিনেত্রী নয়নতারাও এক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, ত্বকজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী। নিরামিষ খাবার খেলেই তাঁর গায়ে র্যাশ বেরিয়ে যেত। এই রোগ সারাতে আয়ুর্বেদিক ওষুধ থেকে বিভিন্ন অ্যালোপাথি ওষুধও খেয়েছেন তিনি।
ত্বকজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলি অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতমও। কেরাটোসিস পিলারিস রোগে ভুগছিলেন ইয়ামি। ‘ফিল্টার’ ছাড়া একটি ছবি তুলে নেটমাধ্যমে পোস্ট করে এই রোগটির ব্যাপারে জানিয়েওছিলেন অভিনেত্রী।
২০০৭ সালে এক ভয়াবহ স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হন সলমন খান। এই রোগে আক্রান্ত হলে গাল, মুখ এবং চিবুকে অসহ্য ব্যথা হয়। ২০১১ সালে আমেরিকার হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেতা। অস্ত্রোপচারের পর আবার ‘এক থা টাইগার’ ছবির শুটিংয়ে ফিরেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সলমন। গৃহবন্দিও থাকতে হয়েছিল নায়ককে। বাতিল করে দিতে হয়েছিল শুটিংও। সলমনের অসুস্থতার কারণে ‘বিগ বস’-এর তিনটি পর্ব সঞ্চালনা করেছিলেন প্রযোজক-পরিচালক কর্ণ জোহর। তবে, সাত দিনের বিরতির পর আবারও কাজে ফিরেছেন ‘ভাইজান’। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।