মুফতি আবু বকর নাবিল : প্রশ্ন: অমুসলিম দেশগুলোতে এমন রেস্টুরেন্টে কাজ করা যেখানে হারাম খাবার (যেমন: শুকরের মাংস, হালাল প্রক্রিয়ায় জবাই করা ছাড়া গরু, মুরগির মাংস, অ্যালকোহল ইত্যাদি) প্রক্রিয়াজাত/বিতরণ/পরিবেশন করা হয়, এটি শরিয়াহ অনুযায়ী বৈধ হবে কি?
উত্তর: শরিয়াহ অনুযায়ী এমন কোনো কাজে অংশগ্রহণ করা বৈধ নয় যার মাধ্যমে সরাসরি হারাম পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ বা পরিবেশনে ভূমিকা রাখা হয়। কারণ এতে পাপ কাজে সহযোগিতা করা হয়; যা কুরআনের নির্দেশনার বিরুদ্ধে।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, সৎকর্ম ও তাকওয়ার বিষয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করো, পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতা করো না। (সূরা মায়িদা: ২)
১. সুতরাং অমুসলিম দেশে রেস্টুরেন্টের হারাম খাবার প্রস্তুতকরণ/প্রক্রিয়াজাতকরণ/পরিবেশন ইত্যাদি কাজে অংশ নেওয়া বৈধ নয়। চাই ব্যক্তি নিজে সেই খাবার ভক্ষন করুক বা না করুক।
কারণ, এটি গুনাহের কাজে সরাসরি সহায়তা করার অন্তর্ভুক্ত। এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত উপার্জনও অবৈধ।
২. যদি রেস্টুরেন্টের যাবতীয় পণ্য ও কার্যক্রমের মাঝে হালাল-হারাম মিশ্রিত থাকে এবং কর্মীর দায়িত্ব শুধু বৈধ পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ/পরিবেশনেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং হারাম অংশে কোনোভাবেই কোন দায়িত্ব না থাকে তবে উক্ত কাজ করা বৈধ।
উল্লেখ্য যে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে সাধারণত নিজের ইচ্ছা মাফিক কাজ করার স্বাধীনতা থাকে না। বরং অর্ডার অনুযায়ী যখন যা প্রয়োজন হালাল-হারামের যাচাই-বাছাই ব্যতীত খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব পালন করতে হয়। এমতাবস্থায় হারাম খাবার সরবরাহ করা বৈধ নয়।
সামগ্রিকভাবে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকা কষ্টসাধ্য বিধায় কাজ করা হতে বিরত থাকাই উত্তম।
উল্লেখ্য, অমুসলিম দেশের অধিকাংশ চেইন হারাম খাবার পরিবেশন করে থাকে। এক্ষেত্রে খাবারে মুরগী বা গরুর মাংস থাকাই হালাল হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। বরং হালাল হওয়ার জন্য শরিয়াহ সম্মত উপায়ে জবাই হওয়া শর্ত। বলাবাহুল্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অমুসলিম দেশের রেস্টুরেন্টগুলো এর পরোয়া করে না।
সারকথা: যে কোনো কাজ করার আগে দেখতে হবে তাতে কোনো হারাম কাজে সহায়তা হচ্ছে কিনা। যদি হয়ে থাকে, তবে তা থেকে বিরত থাকা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক মুসলিমের উচিত এমন পেশা নির্বাচন করা যা হালাল এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়তা করে। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।