জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের অন্যতম সহযোগী ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
শুক্রবার বিকালে উত্তরার একটি বাসা থেকে নিশানকে গ্রেফতার করা হয় বলে সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক জানিয়েছেন।
নিশান মাহমুদ ফরিদপুর শহরের মধ্য আলিপুর মহল্লার কামাল মুন্সির ছেলে।
রাজধানীর কাফরুল থানায় করা প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার বরকত-রুবেল আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন তাতে নিশানের নাম এসেছে। তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতেই নিশানকে গ্রেফতার করা হয় বলে সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন।
এদিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানিয়েছেন, মুদ্রা পাচারের মামলায় ঢাকায় নিশান মাহমুদ গ্রেপ্তার হলেও তাকে ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর ওপর হামলা ও চাঁদাবাজির অপর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তাকে ফরিদপুরে জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে।
গত ১৬ মে রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত যমুনা ভবনে দুই দফা হামলা হয়। এ ঘটনায় সুবল সাহা ১৮ মে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলার আসামি হিসেবে বরকত ও রুবেলসহ নয়জনকে গত ৭ জুন প্রথম গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে পাঁচটি পিস্তল, ৯১টি গুলি, দু’টি শর্টগান, ১৮০টি কার্তুজ, তিন হাজার ডলার, ৯৮ হাজার রুপি ও ২৯ হাজার টাকা ছাড়াও একটি রেস্ট হাউস থেকে ছয় বোতল বিদেশি মদ, খাদ্য অধিদপ্তরের ১২০০ বস্তায় ৬০ হাজার কেজি চাল এবং ৬৫টি ইয়াবা পাওয়া যায়।
এসব ঘটনায় মামলা করার পাশপাশি আলাদা তদন্তে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়ে রাজধানীর কাফরুল থানায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করে সিআইডি।
দুই ভাইয়ের নামে আড়াই হাজার বিঘা জমি থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় বরকত-রুবেলের আরেক জুয়েল মণ্ডলও গত ১৮ অগাস্ট গ্রেফতার হয়েছেন।
সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা এবং মুদ্রা পাচারের মামলায় এ পর্যন্ত ফরিদপুর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এর মধ্যে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহানও রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।