জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালে ৫৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলায় ছাত্রনেতা গাজী তৌকির রহমান শুভর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলি আফরোজ।
তৌকির রহমান শুভ নগরীর কলেজ রোড এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে। বাদীর নাম আতিকুর রহমান। তিনি নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের খান সড়কের বাসিন্দা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদ আলী খান জানান, শুভ ও আতিকুর রহমান একসঙ্গে ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। আতিকুর রহমানের মেসার্স সুরাইয়া কনস্ট্রাকশনের নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে ঠিকাদারি কাজ করেছেন শুভ। এছাড়া ব্যবসায়ীক প্রয়োজনের কথা বলে বিভিন্ন সময় আতিকুর রহমানের কাছ থেকে লাখ টাকা ধার নেন তিনি। এভাবে ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত তার কাছ থেকে শুভ ৫৫ লাখ টাকা নেন।
এদিকে ধারের পরিমাণ বাড়তে থাকায় শুভকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেন আতিকুর রহমান। ২০১৮ সালের শেষ দিকে শুভকে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বলেন তিনি। এরপর টাকা না দিয়ে নানাভাবে ঘুরাতে থাকেন শুভ। পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে শুভ ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর আতিকুর রহমানের মেসার্স সুরাইয়া কনস্ট্রাকশনের নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক সাভারের হেমায়েতপুর শাখার ৫৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন।
এর পরদিন ১৪ অক্টোবর চেক জমা দেন আতিকুর রহমান। তবে শুভর ওই ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্মকর্তারা চেক ফেরত (ডিজ অনার) দেন। এ ঘটনায় একই বছরের ১ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন আতিকুর রহমান। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তৌকির রহমান শুভর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রনেতা গাজী তৌকির রহমান শুভ জানান, এক সময় তার ব্যবসায়ীক অংশীদার ছিলেন আতিকুর রহমান। দুইজনই একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। আতিকুর রহমানের প্রস্তাবে ব্যবসায়ীক অংশীদার হিসেবে যুক্ত হন তিনি। লোকসানের কথা বলে আতিকুর রহমান তার অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মূলধন ফেরত চাওয়ার পর থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু করেন আতিকুর রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।