স্পোর্টস ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইল ইভেন্টে দ্রুততম সাঁতারু হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এমা ম্যাককুয়েন। গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড।
শুধু তাই নয় এই নারী সাঁতারু এবার টোকিও অলিম্পিক গেমসে অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সফল অলিম্পিয়ান হয়েছেন। অলিম্পিকের ইতিহাসে সর্বকালীন নজির গড়লেন এমা ম্যাককুয়েন।
টোকিও অলিম্পিকে চারটি স্বর্ণসহ সাতটি পদক জয় করেছেন ২৭ বছর বয়সি অস্ট্রেলিয়ান এই সাঁতারু। অথচ তার ক্যারিয়ারে ৫০ মিটার ইভেন্টে পদক ছিল না কখনও।
এই জাপানেই ২০১৮ সালে প্যানপ্যাসিফিক চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় হয়েছিলেন ম্যাককুয়েন। সেই থেকেই টোকিও অলিম্পিক গেমসকে কেন্দ্র করে নিজের উন্নতির জন্য জাপানে অনুশীলনও করেছিলেন তিনি।
এমা ম্যাককুয়েন বলছিলেন, আমরা গোটা পরিবার যা কিছু করি সবই পানি কেন্দ্রিক। পানি ভালো লাগে। আমি আমাকে ওয়াটার বেবি মনে করি। অস্ট্রেলিয়ায় দুই ভাই বোন সুইমিং ট্রেনিং সেন্টার খুলেছেন।
নিজের ব্যর্থতা কীভাবে কাটিয়ে উঠতে হয় তা জানতে এমা ম্যাককুয়েন আদর্শ মানেন মার্কিন টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামসকে। জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই গেছে অবশেষে দ্রুততম সাঁতারু হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এমা ম্যাককুয়েন। হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সেরা অলিম্পিয়ান।
মেয়েদের চার গুণতিক ১০০ মিটার মিডলে রিলেতে স্বর্ণ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসে জায়গা করে নেন ব্রিসবেনে গ্রিফিত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ে পড়া এই এমা।
অস্ট্রেলিয়ান এমা ম্যাককুয়েন ভেঙে দেন জার্মানির ক্রিশ্চিন ওটো এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাতালি কাফলিনের এক অলিম্পিক সাঁতারে সব থেকে বেশি ছয়টি করে পদক জয়ের রেকর্ড। ১৯৮৮ অলিম্পিকে ছয়টি স্বর্ণ জিতেছিলেন ক্রিশ্চিন।
২০০৮ অলিম্পিকে একটি স্বর্ণ, দুইটি রূপা ও তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন নাতালি। টোকিওর সাতটি পদকসহ এমার পদক সংখ্যা ১১। তিনি রিও অলিম্পিকে একটি স্বর্ণ, দুইটি রূপা ও একটি ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। তিনি পিছনে ফেলে দেন ইয়ান থর্প ও লেইজেল জোনসের অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব থেকে বেশি ৯টি করে অলিম্পিক পদক জয়ের নজির।
টোকিও অলিম্পিকে এমার পদক:
১. ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইল স্বর্ণ
২. ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল স্বর্ণ
৩. চার গুণতিক ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল স্বর্ণ
৪. চার গুণতিক ১০০ মিটার মেডলি ফ্রি-স্টাইল স্বর্ণ
৫. ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ব্রোঞ্জ
৬. চার গুণতিক ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল ব্রোঞ্জ
৭. চার গুণতিক ১০০ মিটার মিক্সড মিডলে ব্রোঞ্জ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।