জুমবাংলা ডেস্ক : ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদের (১৮ এর নিচে অপ্রাপ্তবয়স্ক) সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাদের পর্ন ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করতো এই যুবক। অনেক সময় ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা চাইতেন তিনি।
দেশি-বিদেশি অসংখ্য শিশুর ছবি-ভিডিও ছড়ানো ওই যুবকের নাম কে এম মীরাজুল ইসলাম। তার বয়স ২৮ বছর। পুলিশের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যদের হাতে গ্রেফতার এই যুবক রিমান্ডে তার একের পর এক অপকর্মের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
গত মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ তার অপকর্মগুলো জানতে পারে।
পুলিশের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম জানান, তাকে দুইদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার কারাগারের প্রেরণের আদেশের জন্য আদালতে তোলা হয়েছে।
মীরাজুলের বিষয়ে তিনি বলেন, একজন ভারতীয় শিশুর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ঢাকার মুগদা থানাধীন অতিশ দীপঙ্কর সড়কের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ। গ্রেফতারের সময় শিশু পর্নগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত তার মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডিগুলো জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মীরাজুল অনলাইনে উঠতি বয়সী শিশুদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে নানা কৌশলে পর্নছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করতো। এছাড়াও সব ভিডিও সংরক্ষণ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সরবরাহ ও আপলোড করতো। এছাড়াও সে বিভিন্ন কৌশল ও প্রলোভনে শিশুদের পর্ন ছবি ও ভিডিও প্রদান করতে উৎসাহিত করে।
সাইবার বিভাগ জানায়, সম্প্রতি মীরাজুল তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ আইডি থেকে ভারতীয় এক শিশু ভিকটিমের অশ্লীল ছবি এবং তার ব্যক্তিগত অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রূপি দাবি করে। মূলত তার অভিযোগের ভিত্তিতেই মীরাজুলকে খুঁজতে সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিম, সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, সিটিটিসি, ডিএমপি, একযোগে কাজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।