জুমবাংলা ডেস্ক : পরীক্ষায় অসাধু উপায় (নকল) অবলম্বন ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের আটজন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী এবং ৪৪ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে (অস্থায়ী) বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। অস্থায়ী বহিষ্কার হওয়া এসব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করা পরীক্ষা বাতিলসহ আরও এক, দুই অথবা তিন বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া দুইজন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ঢাবি ও এর অধিভুক্ত সাত কলেজ ব্যতীত অন্য কলেজের ২০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে ঢাবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাবির শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় এসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থীদের তালিকা চলতি মাসেই সংশ্লিষ্ট কলেজে পাঠাবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের জানানো হবে।
জানা গেছে, অপরাধ বিবেচনায় সাত কলেজের ৮ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ৪৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। অস্থায়ী বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করা পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও শাস্তিস্বরূপ আরও ১, ২, অথবা ৩ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না তাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি আরও জানায়, স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত ৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে সরকারি বাঙলা কলেজের ৫ জন ও ঢাকা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত ৪৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ইডেন মহিলা কলেজের ১২ জন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ১২, সরকারি বাঙলা কলেজের ৯, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ৬, কবি নজরুল সরকারি কলেজের ৪ ও ঢাকা কলেজের একজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, শৃঙ্খলা পরিষদের সভার পরামর্শ অনুযায়ী সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীরা শাস্তি কমানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে যথাযথ পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় সেটা বিবেচনা করবে।
উল্লেখ্য, অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে কোনো শিক্ষার্থী উপাচার্য বরাবর শাস্তি হ্রাসের আবেদন করলে উপাচার্য বিশেষ বিবেচনায় শাস্তি এক বছর হ্রাস করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।