সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্র তা সম্প্রসারিতও হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়ে যাচ্ছে বিধায় মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণ দিন দিন পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে।
তাছাড়া আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনেরা নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। সপ্তাহ জুড়ে যেমন কিছু মুদ্রা বেশ স্থিতিশীল ছিল আবার আকস্মিকভাবে অনেক মুদ্রার দাম কমেছে বা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মার্কিন ডলার বর্তমানে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং বর্তমান সময়টাতে তা অব্যাহত থাকবে।
এনসিসি ব্যাংকের তথ্যমতে মার্কিন ডলার সর্বোচ্চ ১২২ টাকায় লেনদেন হয়। সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডের দর প্রায় ৪ টাকার মতো কমেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পাউন্ড লেনদেন হয় সর্বোচ্চ ১৫১ টাকা ৫১ পয়সায়। রোববার সর্বনিম্ন দর ছিলো ১৫০ টাকা ৪৩ পয়সা।
পতন হয়েছে ইউরোর দরও। বুধবার ইউরো সর্বোচ্চ ১২৭ টাকা ৫৮ পয়সা দরে বিনিময় হয়। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন দর ছিল ১২৬ টাকা ৫৪ পয়সা। বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দর। সর্বোচ্চ দর ছিলো ৭৫ টাকা ৮৪ পয়সা। সর্বনিম্ন ছিল ৭৪ টাকা ৯৬ পয়সা।
তবে তেমন কোনো পরিবর্তন ছিল না মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের দর। সপ্তাহজুড়ে ২৭ টাকার মধ্যেই লেনদেন হয়েছে মুদ্রাটির।বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলারের দর। বুধবার সর্বোচ্চ ৯০ টাকা ৬১ পয়সায় হাতবদল হয় মুদ্রাটি। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন দর ছিল ৯০ টাকা ২০ পয়সা। তবে অপরিবর্তিত ছিল সৌদি রিয়ালের দাম। সর্বোচ্চ দর ছিলো ৩২ টাকা ৫১ পয়সা।
শুধু মার্কিন ডলার নয় বরং অস্ট্রেলিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলার এবং কানাডিয়ান ডলারের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ইউরো এবং পাউন্ডের মতো কিছু মুদ্রার পতন হয়েছে। এক কানাডিয়ান ডলার পেতে আপনাকে খরচ করতে হবে ৮৫ টাকা ৪ পয়সা। অন্যদিকে এক ভারতীয় রূপির জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ১ টাকা ৪২ পয়সা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।