জুমবাংলা ডেস্ক : নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া ও মফিজুর রহমান সুমন দম্পতির উত্থান স্থানীয় সবার চোখে পড়েছে। কিন্তু অস্ত্রবাজি আর তাঁদের ওপর স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিকের ছত্রচ্ছায়ার কারণে তাঁদের উত্থানের পেছনের রহস্য নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাত না এলাকাবাসী এমনকি তাঁদের ঘনিষ্ঠজনরাও। গতকাল সোমবার পাপিয়া-সুমন দম্পতির বাল্যবন্ধু, স্বজনসহ এলাকার প্রায় ২০ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
নরসিংদী সরকারি কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়ান সুমন। রাজনীতির পাশাপাশি শুরু হয় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তা ছাড়া অস্ত্র চালনার নেশা থেকে শ্যুটিং কোর্স করেন তিনি। ২০০১ সালে নরসিংদী পৌরসভার কমিশনার মানিক মিয়াকে যাত্রা প্যান্ডেলে গিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসংক্রান্ত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। এর মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে একসময় তিনি নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঞা বলেন, ‘সুমনের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে নরসিংদী থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল।’
সুমন বিয়ে করেন ২০০৯ সালে। নরসিংদী শহরের ভাগদী এলাকার সাইফুল বারীর মেয়ে পাপিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ থাকার পর তাঁকে বিয়ে করেন সুমন। এ দম্পতি ২০১২ সালে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সেই হামলায় পাপিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁরা ঢাকায় চলে এলে নরসিংদী থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এ সময় ঢাকাকেন্দ্রিক নেতাদের সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ২০১৪ সালে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ বাগিয়ে আলোচনায় আসেন পাপিয়া। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে দুই ধারায় বিভক্ত নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বলয়ে যোগ দেন সুমন ও পাপিয়া। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য (এমপি) নজরুল ইসলামের পক্ষে চলতে থাকে তাঁদের ব্যাপক সমর্থনের প্রদর্শনী। কিছুদিনের মধ্যে তাঁরা নরসিংদীতে গড়ে তোলেন ক্যাডার বাহিনী কিউঅ্যান্ডসি। বাহিনীর প্রত্যেকের হাতে রয়েছে কিউঅ্যান্ডসির ট্যাটু। বাহিনীর সদস্যদের মোটরসাইকেল রক্ষণাবেক্ষণ ও তাদের নিয়মিত আড্ডার জন্য ‘কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন’ শীর্ষক প্রতিষ্ঠান খোলেন পাপিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।