পূর্বের সরকারের পতন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে উৎপাদন আশঙ্কাজনক ভাবে কমে গেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কর্মস্পৃহা হ্রাস পাচ্ছে। জিডিপি আকার কমিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনা করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
দেশজ উৎপাদন কমে যাওয়ার পর সব ধরনের কর্মসংস্থানের তা বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করেছে। কর্মস্পৃহা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না এবং শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আর্থিক টানাপোড়নের কারণে সরকারি উৎপাদন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বেসরকারি খাতের উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে। সব জায়গায় গ্যাস এবং বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলছিলেন, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগে এখন স্থবিরতা। আবার অন্যদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, এই দুটোর মধ্যে তো একটা সাংঘর্ষিক বিষয় আছে। কাজেই বিনিয়োগের পথে নিয়মতান্ত্রিক যেসব জটিলতা আছে সেগুলো যদি সহজ করা যায়, যেটা আসলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা; তাহলে সংকোচনমূলক মুদ্রা নীতি ও বাজেটকে পরিচালনযোগ্য আকারে রেখে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা পরিবেশ তৈরি করা যেতে পারে।
শুধু আইএমএফই নয়, জিডিপির হার কমিয়ে প্রক্ষেপণ করেছে বিশ্বব্যাংক ও এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পরিবর্তিত এই অবস্থায় সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেয়া হয়েছে এমন পূর্বাভাস।
অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি বললেন, আমাদেরকে আরও দ্রুত গতিতে এগোতে হলে সেবা ও শিল্প খাতকে আরও দ্রুত গতিতে অগ্রসর হতে হবে। যাতে আমরা আরও দ্রুত গতিতে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হই।
মূলত অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা সৃষ্টির ফলেই উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এফবিসিসিআই মনে করে যে, গ্যাস ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকের ঋণের সুদ বৃদ্ধি পেতে হয়েছে। অনেক সমস্যা একসাথে হওয়ায় অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা ভালো না হলে দেশের অর্থনীতি আরো বিপদের মুখে পড়বে। তবে আশা করা হচ্ছে যে, আগামী অর্থ বছরেই জিডিপির অবস্থার উন্নতি হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।