বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : ইন্টারফেস ও ব্যবহারবান্ধব সফটওয়্যারের কারণে ডিজাইন জগতে অ্যাডোবি বেশ পরিচিত। তবে পেইড ভার্সন ছাড়া ফিচার ব্যবহারের সুবিধা না থাকায় ব্যবহারকারীদের কাছে কোম্পানিটির সফটওয়্যার রীতিমতো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে অ্যাডোবির বিকল্প আটটি সফটওয়্যারও রয়েছে। মেক ইউজ অব সূত্রে এমন কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে জানা গেছে।
ইঙ্কস্পেস: সৃজনশীল ডিজাইনের ক্ষেত্রে অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরের বিকল্প হতে পারে ইঙ্কস্পেস। ফ্রি ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যারটি ইলাস্ট্রেটরের মতো হুবহু ইন্টারফেস ও টুল ব্যবহারের সুবিধা দেবে। উইন্ডোজ, ম্যাক কিংবা লিনাক্স, সব অপারেটিং সিস্টেমেই ব্যবহার করা যায় ইঙ্কস্পেস। ইলাস্ট্রেটরের মতোই এতে ভেক্টর ও রাস্টার ফাইল তৈরি কিংবা এসভিজি ফরম্যাটে সেভ করাসহ নানা সুবিধা পাওয়া যায়।
গিম্প: অনলাইনে ফটোশপের অনেক বিকল্প রয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে শীর্ষে থাকবে গিম্প। এতে ফটোশপের মতো হুবহু অনেক টুল ব্যবহার করা যায়। এছাড়া গিম্পে সিপ্লাসপ্লাস কিংবা পাইথনের মতো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের জন্য ইন্টারফেস, গ্র্যাফিকস, মেকআপ বা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
রথেরাপি: লাইট রুমের অনেক বিকল্প থাকলেও সেগুলোর অধিকাংশ ফ্রি নয় কিংবা ভালোভাবে কাজ করে না। এক্ষেত্রে রথেরাপিকে বেছে নিতে পারেন ব্যবহারকারীরা। এটিও উইন্ডোজ, ম্যাক ও লিনাক্সে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারী যদি রথেরাপির ইন্টারফেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, তাহলে সফটওয়্যারটি তাকে ভালো সুবিধা দিতে পারে।
লিনিয়ারিটি: একই সঙ্গে ইলাস্ট্রেটর ও আফটার ইফেক্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করে লিনিয়ারিটি। এর লিনিয়ারিটি কার্ভ একটি ফ্রি ভেক্টর ড্রয়িং টুল। তবে এর অসুবিধা হলো ফ্রি সংস্করণে অডিও সমর্থন করে না এবং একসঙ্গে সীমিতসংখ্যক প্রজেক্টেই কাজ করা যায়।
দাভিঞ্চি রিজলভ: ভিডিও সম্পাদনার জন্য দাভিঞ্চি রিজলভ একটি প্রিমিয়াম সফটওয়্যার। এর ফ্রি ভার্সনে কিছু প্রিমিয়াম কালার গ্রেডিং, নয়েজ রিডাকশন ও এআই টুল ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়। তবে এতে ৬০ এফপিএসে ফোরকের চেয়ে বেশি মানের ভিডিও এক্সপোর্ট করা যায় না।
স্ক্রিবাস: যেকোনো ধরনের পৃষ্ঠাসজ্জার জন্য অ্যাডোবি ইনডিজাইন একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার। কিন্তু কোয়ার্ক এক্সপ্রেস বা অ্যাফিনিটি পাবলিসারের মতো এর দামও অনেক বেশি। এক্ষেত্রে ইনডিজাইনের বিকল্প হিসেবে ফ্রিতে স্ক্রিবাস ব্যবহার করা যাবে। এতেও পৃষ্ঠাসজ্জার সাধারণ ফিচারগুলোর পাশাপাশি ইনডিজাইনের মতো সিএমওয়াইকে কালার রেঞ্জ, স্পট কালার ও আইসিসি কালার ম্যানেজমেন্ট সুবিধা আছে।
ক্যানভা: সামাজিক মাধ্যম, ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা গ্র্যাফিকস প্রজেক্ট এসবের যেকোনো ক্ষেত্রে অ্যাডোবি এক্সপ্রেসের উপযোগিতা অত্যন্ত বেশি। এক্ষেত্রে এক্সপ্রেসের বিকল্প হতে পারে ক্যানভা। এ সফটওয়্যারে এক্সপ্রেসের মতো এআই টুল ব্যবহারের সুবিধা আছে। ক্যানভার প্রিমিয়াম ভার্সনের দামও খুব বেশি নয়।
সেজডা: পিডিএফ রিডার সফটওয়্যার অ্যাক্রোব্যাটকে ক্রিয়েটিভ ডিজাইন টুল বলা হয়। সৃজনশীল নানা কাজে একে ব্যবহারের সুযোগ আছে। যেমন ইনডিজাইন বা স্ক্রিবাসে ডিজাইন করা ফাইল এতে ওপেন করা যায় এবং এডিট করা যায়। এর ফ্রি ভার্সনে ২০০ পৃষ্ঠা বা ৫০ মেগাবাইটের বেশি সাইজের ফাইল ওপেন করা যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।