বিজ্ঞান ও ডেস্ক: উইন্ডোজ টেন নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই নিরীক্ষা চালিয়েছে নকিয়া। ২০১৭ সালে বাজারে আসে নকিয়া ৮, নকিয়া ৬, নকিয়া ৫ ও নকিয়া ৩। কিছুটা সাফল্যও পায় মডেলগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্র্যান্ডের সুনাম, নির্মাণ মান ও সফটওয়্যারের কারণে কিছুটা খ্যাতি কুড়ায় ফিনল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। তবে নকিয়ার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় অ্যান্ড্রয়েড ১১ সংস্করণ। ২০২১ সাল জুড়ে অ্যান্ড্রয়েড ১১-এর ডিলে ও বাগ নকিয়ার নতুন লাইনআপ ফোনগুলোয় প্রবেশ করে। সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে এইচএমডি সিএমও স্টিফেন টেলর ত্রুটির কারণ প্রকাশ করেন।
স্টিফেন টেলর বলেন, অ্যান্ড্রয়েড ১১ বেটা প্রোগ্রামে নকিয়া অংশগ্রহণ করেনি। এটাই প্রধান সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি জানান, অংশগ্রহণ করলে ওইএম দ্রুত আপডেট ভার্সন আনতে পারত। এদিকে প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘ লাইনআপ প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। এইচএমডি নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অ্যান্ড্রয়েড ১১ সংস্করণ খুব একটা সাফল্য আনেনি নকিয়ার জন্য। ফোনের আপডেট জটিলতার কারণেই এ সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি। তবে আগের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্টিফেন।
স্টিফেন টেলর জানিয়েছেন, বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ১২ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ডিভাইসে বেশ স্থিতিশীলতা এসেছে। টেলরের ভাষ্যমতে, নকিয়ার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়। এরই মধ্যে নকিয়া এক্স ২০ ভরসা জুগিয়েছে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মনে। বিশেষজ্ঞদের আশা নকিয়া এভাবে আপডেট প্রক্রিয়া চলমান রাখলে ভবিষ্যতে আরো উন্নয়নের সম্ভাবনা থাকবে। এ বিষয়ে টেলর বলেন, স্বীকার করছি অ্যান্ড্রয়েড ১১-এর কারণে আমরা কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছি। তবে শিগগিরই শীর্ষস্থানে পৌঁছবে।
সূত্র: গিজমোচায়না
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।