Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে অস্ত্র কেনে হাসিনা সরকার
    জাতীয়

    আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে অস্ত্র কেনে হাসিনা সরকার

    November 3, 20245 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে বছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার ১৫ বছরে শাসন আমলে সবমিলিয়ে কত টাকা পাচার হয়েছে, তার প্রকৃত হিসাব কোথাও নেই। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলেও প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল। শনিবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ‘ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)’ ও ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

    সেমিনারের বিষয় ছিল ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর উপায়’। গ্রিনওয়াচ ঢাকার এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদারের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ওয়েস্ট সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ এবং ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা প্রমুখ। তাদের মতে, আমলাতন্ত্রকে কর্তৃত্ব দিয়েছে রাজনৈতিক শক্তি। আর তা বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন এজেন্সিকে। এ সময়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বক্তারা।

    প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তর করলে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ পাচারের টাকায় প্রতিবছর ৪ থেকে ৫টি পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব।

    ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সম্প্রতি বলেছেন ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। বাস্তবে পাচারের পরিমাণ আরও বেশি। রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালীরা ব্যাংক খাত ও বাণিজ্যের আড়ালে প্রতিবছরে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। তার মতে, যে দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে, সেই দেশের সঙ্গে আইনি চুক্তি ও সমঝোতার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি বন্ধ হবে না।

    ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অর্থ পাচার রোধে রাষ্ট্রকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এ সময় সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছে সরকার। আগামী দুই বছরের মধ্যে যদি একটা পয়সাও ফেরত আসে তাহলে, সেটাও বড় অর্জন হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ঋণখেলাপির সংস্কৃতি যারা চালু করেছেন, সেই প্রভাবশালীরাই পাঁচ তারকা হোটেলে বসে ব্যাংক খাতের নীতি-পলিসি তৈরি করত। আর বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষণা করত সেসব পলিসি।

    ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বলয় প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখলের মাধ্যমে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ও ব্যবসা এই ত্রিমুখী আঁতাত মৌলিক ভূমিকা রেখেছে। সব প্রতিষ্ঠানেই দীর্ঘ সময় ধরে দলীয়করণের চর্চা হয়েছে। গত ১৫-১৬ বছরে যার চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি। এতে আমলাতন্ত্রকে কর্তৃত্ব দিয়েছে রাজনৈতিক শক্তি। আর তা বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন এজেন্সিকে। ফলে এসব জায়গায় কতটুকু পরিবর্তন আনা যাবে, তা গুরুত্বপূর্ণ। যে পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশা করছি, তা যেন টেকসই হয়।

    পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একটি দৃষ্টান্ত আছে। সেটি হলো, সিঙ্গাপুর থেকে। দেশটি থেকে ২০০৭ সালে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং পারস্পরিক আইনি সহায়তার মাধ্যমে ২০১৩ সালে ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৯৩০ কোটি ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয়েছিল। ইফতেখারুজ্জামানের মতে, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্ভব। তবে তা অনেক কঠিন ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া।

    টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, অর্থ পাচার বন্ধে সাপ্লাই (যে দেশ থেকে পাচার হয়) ও ডিমান্ড (যে দেশে পাচার হয়) উভয়ের মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ থাকতে হবে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞ দল আছে। সে কারণে আমরা একজন সাবেক মন্ত্রীর কয়েকটি দেশে কয়েকশ অ্যাপার্টমেন্টের বিষয়ে জানতে পারছি। কিন্তু এই ঘটনা বরফখণ্ডের চূড়ামাত্র। এমন পাচারকারী আরও অনেকে আছেন।

    ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, অর্থ পাচার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এসব প্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার পথনকশা আছে। কিন্তু শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে হবে। অর্থ পাচার রোধে বেশ কিছু আইনেরও প্রয়োজন আছে। এছাড়া দুর্নীতি বন্ধে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন তিনি। মূলপ্রবন্ধে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া এবং আর্থিক অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করায় এখন গুরুত্ব দিতে হবে। এসব উদ্যোগ নিলে পাচার হওয়া টাকার পুরোটা না হলেও কিছু অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এতে ভবিষ্যতে পাচার করার বেলায় সবাই সাবধান হয়ে যাবেন।

    তিনি বলেন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্থ স্থানান্তর ও অর্থ পাচার উভয় পদ্ধতিতেই দেশ থেকে অর্থ সরানো হয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে অনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়। অনুমান করা হয়, এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার পাচার করা হয়েছে।

    সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আইএমএফসহ বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার দেওয়া ঋণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, তৎকালীন সরকারের রাজনৈতিক বৈধতা ছিল না, ঋণ দিলে সে অর্থ জনগণের কাজে আসবে না। এসব জানা সত্ত্বেও আইএমএফ সরকারকে কেন ঋণ দিয়েছিল, সে প্রশ্ন তোলা প্রয়োজন। এসব ঋণের টাকা শুধু অপব্যবহারই হয়নি, তা দিয়ে সরকার গুলি কিনেছে, বারুদ কিনেছে ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে তা ব্যবহার করেছে। গত সরকারের সময়ে বিভিন্ন উৎস থেকে যত ঋণ নেওয়া হয়েছে ও ব্যয় করা হয়েছে, সবক্ষেত্রে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্ত করার দাবি জানান তিনি।

    অর্থনীতিবিদ নাঈম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাংক হাইজ্যাক (ছিনতাই) হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যাবে কীভাবে। পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে সবার আগে মানসিকতা ঠিক করতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রভাবশালীরা পাচার করা অর্থ হজম করে ফেললে তা ভবিষ্যতের জন্য ভালো উদাহরণ হবে না। সে জন্য পাচারকারীদের স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে। শুরু করতে হবে বিচারপ্রক্রিয়া। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাচারের বিষয়টি আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে।

    ‘হাসিনা পরিবারের ৫৬ জনকে এমপি বানিয়ে কোটি কোটি টাকা লুট করেছে’

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় অস্ত্র আইএমএফের ঋণ কাছ কেনে থেকে নিয়ে, সরকার হাসিনা
    Related Posts
    rain

    তাপপ্রবাহ : কখন মিলবে স্বস্তি, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

    May 16, 2025
    Robi

    ইন্টারনেটের দাম কমানোয় আয় কমেছে : রবি

    May 16, 2025
    Pak

    বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের জন্য ই-ভিসা চালুর প্রক্রিয়া চলছে

    May 16, 2025
    সর্বশেষ সংবাদ
    rain
    তাপপ্রবাহ : কখন মিলবে স্বস্তি, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
    GP
    গ্রামীণফোনের বিনামূল্যে ইন্টারনেট অফার, গ্রাহকদের জন্য সুখবর
    Robi
    ইন্টারনেটের দাম কমানোয় আয় কমেছে : রবি
    ওয়েব সিরিজ
    রিলিজ হলো সম্পর্কের টানাপোড়েন ও নাটকীয়তা নিয়ে সেরা ওয়েব সিরিজ!
    Pak
    বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের জন্য ই-ভিসা চালুর প্রক্রিয়া চলছে
    Huawei Mate 40
    Huawei Mate 40 সিরিজের জন্য আসছে বিশাল সুখবর
    Tata
    কাউকে বিদায় জানানোর সময় কেন টাটা বলা হয়
    ICT
    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থ ব্যয়ে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনের সম্ভাবনা : আইসিটি সচিব
    ওয়েব সিরিজ
    শীর্ষে থাকা এক রোমান্স ওয়েব সিরিজ, যা মিস করা যাবে না!
    Upodastha
    ফারাক্কা এদেশে কারবালা তৈরি করেছে : মৎস্য উপদেষ্টা
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.