জুমবাংলা ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণচুক্তির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় পাওয়ার জন্য তাদের দেওয়া শর্ত পূরণে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী বাংলাদেশ। ঋণ পাওয়ার জন্য তাদের শর্ত পূরণে যা যা করা দরকার, সব করছে সরকার।
বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে বৈঠকে জানিয়েছে আইএফএফ। তাদের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই রয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় তৎকালীন সরকার। পরে ওই বছরেরই ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ। মোট তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ ২৩১ কোটি ডলার পেলেও এখনও বাকি রয়েছে ২৩৯ কোটি ডলার। এরপর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর মাঝেই ঋণের পরবর্তী কিস্তির অর্থছাড় আর আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্ত নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা।
অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ মাসে বাকি ঋণের অর্থছাড়ের বিষয়টি দুই দফায় পেছালেও আগামী জুনেই চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়ার আশা করছে সরকার।
মূলত, সেই ঋণের শর্ত পর্যালোচনার জন্যই ঢাকায় পা রেখেছে আইএমএফের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংস্থাটির গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী ১৭ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সফর শেষ করবে আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।