বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু, চেনাব সেতু হিসেবে খ্যাত। জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় স্থাপিত চেনাব সেতু কাশ্মিরকে যুক্ত করবে ভারতের বিস্তৃত রেল নেটওয়ার্কের সাথে। দুর্গম পাহাড়ে এমন দৃষ্টিনন্দন সেতু, প্রকৌশলের দুনিয়ায় নতুন বিস্ময়। ১৩শ মিটার লম্বা রেলসেতুটি কোনরকম সংস্কার ছাড়াই টিকবে, ১২০ বছর। ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের ধাক্কা সয়ে যেতে পারবে।
২০২২ সালের আগস্টে চেনাব ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এটি কাশ্মীরকে যুক্ত করবে ভারতের বিস্তৃত রেল নেটওয়ার্কের সাথে। হিমালয় প্রদেশে জন্ম নেওয়া চেনাব অর্থাৎ চন্দ্রবাঘা নদী বয়ে চলেছে জম্মু-কাশ্মীর হয়ে পাকিস্তান পর্যন্ত। এ নদীর উপরে তৈরি চেনাব সেতু।
দুর্গম এলাকায় সেতু নির্মাণে বাধা ছিল নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনে। এখানে এত বড় নির্মাণ ছিল সাহসী এবং উচ্চভিলাষী পদক্ষেপ। পাহাড় ও সবুজ অরন্যে ঘেরা এ অঞ্চল পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসা সহজ বিষয় ছিল না।
আইফেল টাওয়ারের নির্মাণের জন্য নয় হাজার টন স্টিল প্রয়োজন হয়েছিল। চেনাব ব্রীজ ব্যবহার করার জন্য ২৫ হাজার টন স্টিল ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই ব্রিজের সবথেকে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে ধনুক আকৃতির অংশটি।
সেতুটির দুই পাশের পিলারের উচ্চতা ৫০ তলা ভবনের সমান। সেতুটি হচ্ছে প্রকৌশল দুনিয়ার নতুন বিস্ময়। কোন ধরনের সংস্কার ছাড়াই এ সেতু ১২০ বছর টিকে যেতে পারবে। ২৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসার ধাক্কা সহ্য করতে পারবে।
ভূমিকম্প থেকে এ প্রজেক্টটি যেনো রক্ষা পায় সেজন্য বিশেষ ধরনের স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে।-20 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সেতটির উপর কোন প্রভাব থাকবে না। ১৯০৫ সালে শ্রীনগরকে জম্মুর সাথে যুক্ত করার জন্য একটি রেল লাইন নির্মাণের কথা ছিল।
প্রাথমিক কাজ শেষ হলে পরে এ প্রকল্পের কাজে আটকে যায়। ১৯৯৫ সালের পরে এসে রেল লাইনের কাজ আবার শুরু হয়। তখন চেনাভের উপর সেতু নির্মাণের প্রয়োজন দেখা যায়নি। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে 27000 কোটি টাকার অনেক বেশি।
প্রকল্পের আওতায় ১১১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেকশন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে। এটা ৯৭ শতাংশ অংশ যাবে টানেলের ভেতর দিয়ে। ২০২২ সালে নির্মাণ কাজ মোটামুটি শেষ হয়েছে। তবে ট্রেন চলাচলের জন্য আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।