অ্যান্ড্রয়েড নাকি আইফোন, কোনটা ভালো? এমন প্রশ্ন প্রায়ই থাকে প্রযুক্তিবিশ্বে। বিশেষ করে নামীদামি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন কেনার সময় আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েডের তুলনা চলে আসে। অবশ্য এই দুই অপারেটিং সিস্টেমের আলাদা কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। এসব বিশেষ সুবিধার কারণে ব্যবহারকারীও বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। তেমনি ফেসটাইম, আইমেসেজসহ আইফোনে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পান না। দেখে নেওয়া যাক, যে সাত সুবিধা শুধু আইফোনেই রয়েছে।
আইক্লাউড ও ফাইন্ড মাই
আইফোন ব্যবহারকারীরা আইক্লাউডে প্রয়োজনীয় তথ্যের ব্যাকআপ সহজে রাখতে পারেন। এ ছাড়া অ্যাপলের ফাইন্ড মাই অ্যাপ ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া অ্যাপল যন্ত্রের অবস্থান শনাক্ত করা যায়। যন্ত্র অনলাইন না থাকলেও এ সুবিধা ব্যবহার করা যায়।
ফ্যামিলি শেয়ারিং ও স্ক্রিন টাইম
ফ্যামিলি শেয়ারিং সুবিধা ব্যবহার করে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে সাবস্ক্রিপশন ও ক্লাউড স্টোরেজ ভাগাভাগি করা যায়। এ ছাড়া স্ক্রিন টাইম সুবিধার মাধ্যমে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানের যন্ত্র ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন।
তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা
অ্যাপল যন্ত্রের নিরাপত্তা অপেক্ষাকৃত উন্নত বলে মনে করেন প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা। যেকোনো সমস্যা, বিশেষ করে ম্যালওয়্যারের আক্রমণের বেলায় দ্রুত সমাধান পাওয়া যায়। তা ছাড়া ব্যবহারকারীর তথ্যের নিরাপত্তায় অ্যাপল সচেষ্ট থাকে। আবার অ্যান্ড্রয়েড মুক্ত সোর্স কোডভিত্তিক সফটওয়্যার, আইওএস তা নয়। অ্যাপলের আইমেসেজ, ফেসটাইম এবং আইক্লাউডে তথ্যের আদান-প্রদান তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।
সিরি
সিরি হলো আইফোনের ভার্চ্যুয়াল সহকারী। সিরিতে কথা বলে ব্যবহারকারী অ্যাপ চালুসহ বিভিন্ন কাজ করে নিতে পারেন। এর ফলে অনেক কাজ সহজ হয়ে যায়।
নিয়মিত সফটওয়্যার হালনাগাদ
আইফোন নির্বাচনের বড় কারণ হতে পারে নিয়মিত সফটওয়্যারের হালনাগাদপ্রাপ্তি। নতুন আইফোন বা আইপ্যাড বাজারে আসার পর অন্তত পাঁচ থেকে ছয় বছর আইওএসের হালনাগাদ পাওয়া যায়। তবে অ্যান্ড্রয়েডে নিয়মিত হালনাগাদ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে স্মার্টফোনের ব্র্যান্ডের ওপর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।