
জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ৩৪ করোনা রোগী। তাদের বাঁচাতে জীবন বিপন্ন করে লড়াই করে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে তাদের প্রাণান্তকর চেষ্টার পরও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে!
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। আজ (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত সারাদেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা মারাত্মক শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাদের আইসিইউতে ভর্তি করা হচ্ছে। তবে সেখানে বেশির ভাগ রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্প্রতি এক প্রেস ব্রিফিংয়েও ‘আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের রিপোর্ট ভালো নয়’ বলে মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ৩৪ রোগীর মধ্যে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নয়জন, সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে চারজন, বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল, উত্তরায় চারজন, রিজেন্ট হাসপাতাল, মিরপুরে তিনজন, যাত্রাবাড়ীর সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে দুজন, রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) দুজন এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসাধীন।
অধিদফতর সূত্রে আরও জানা যায়, বর্তমানে রাজধানীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সরকারি আটটি হাসপাতালে ১৪৭টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২১টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে।
সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ২৬টি, আড়াইশ শয্যার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে ১৬টি, বাবুবাজার মহানগর হাসপাতালে পাঁচটি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২ এ ৪৮টি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১০টি, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি, মিরপুর লালকুঠি হাসপাতালে পাঁচটি এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৭টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। সূত্র : জাগো নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।