জুমবাংলা ডেস্ক : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত বা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) করা এ মামলায় সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে (বিবৃতি) বিষয়টি জানা গেছে।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযানে হতাহতের ইস্যুতে ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) এ মামলা করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অব্যাহত হামলায় হাজারো ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। বাংলাদেশ এই পরিকল্পিত আগ্রাসনকে গণহত্যা সনদসহ আন্তর্জাতিক আইনের জন্য স্পষ্ট অবজ্ঞা ও লঙ্ঘন বলে মনে করে। তাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা যে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সেই আবেদনের সমর্থন করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সব ধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত করা, গাজায় নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তার অনুমতি দেওয়ার যে অনুরোধ দক্ষিণ আফ্রিকা করেছে বাংলাদেশ সেটিকেও সমর্থন দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের দখলদারত্বের অবসান ও একটি স্থায়ী সমাধান আশা করে বাংলাদেশ। সে জন্য ১৯৬৭ সালের আগে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের যে সীমানা ছিল সেটি বিবেচনায় নিয়ে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ ছাড়া বিবৃতিতে গণহত্যা কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তির জন্য গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করার জন্য সব রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায়।
মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকা অভিযোগ করেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নারী ও শিশুসহ হাজারো বেসামরিক মানুষ মারা গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা আরও দাবি করে, ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নিধনের চেষ্টা করছে। গাজাবাসীর জাতীয়, জাতিগত এবং নৃগোষ্ঠীর অংশকে ধ্বংস করতে হামলা করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।