আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার “রাজনৈতিক মৃত্যু” ঘটেছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, তাঁদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব এখন কেবল মাঝেমধ্যে চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারে মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা বিএনপির আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে। এখন তাঁদের রাজনৈতিক পরিসর বলতে যা আছে, তা হলো মাঝেমধ্যে কিছু চিৎকার—যা দিয়ে আর পরিস্থিতি বদলানো যাবে না।”
দেশে স্বৈরাচার, সামরিক শাসন বা ফ্যাসিবাদের পুনর্জন্ম যেন আর কখনো না ঘটে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সালাহউদ্দিন বলেন, “আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। বাংলাদেশ যেন আর কখনো স্বৈরাচার, সামরিক শাসক বা ফ্যাসিবাদের কবলে না পড়ে।”
এসময় তিনি বিএনপি, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, চর্চা ও রক্ষায় ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি সবসময়ই লড়াই করেছে, করছে এবং করবে।”।
তার ভাষ্য অনুযায়ী— বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। ৭ নভেম্বরের ঘটনা, ১৯৭৯ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদবিরোধী আন্দোলন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
তিনি আরও দাবি করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও সংসদীয় শাসনব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত করাও বিএনপির নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছেন। একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



