জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ (২৯) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় না’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগই নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ বিশেষ করে এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে তাদের সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেই লক্ষ্যে ২০১৪ সালে নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে একটি প্রহসনে পরিণত করেছে, সেখানে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮-তে আগের রাতে ভোট করে নিয়ে তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানে অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও জনগণ অংশগ্রহণ করছে না, তথা ভোট দিতে যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘খুব সহজেই জনগণ বোঝে, গোটা বিশ্ব বোঝে—এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো দিনই কোনো সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন হবে না। জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। সেই কারণে আজ আওয়ামী লীগ এ সব কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার জনগণ জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের (সরকার) পরাজিত করবে এবং সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করবে।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, কোনো রকমের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেখানে মেয়র নির্বাচন বা কাউন্সিলর নির্বাচন, সেখানে আমাদের দলের কারও অংশগ্রহণ থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে। দানবীয় একটি সরকার যারা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে, রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে, জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে আজ জোর করে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য এই সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন যেন সফল করতে পারি, স্বেচ্ছাসেবক দল সেখানে যেন তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে। এরইমধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন শহীদ হয়েছেন। ভোলাতে আব্দুর রহিমের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়, সেজন্য তারা শপথ নিয়েছেন। আন্দোলনকে আরও তীব্র ও বেগবান করে তারা এই আন্দোলনকে সফল করবে, এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, জনগণের একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করবে, একটি গণতান্ত্রিক ও মুক্ত সমাজ এখানে বিনির্মাণ করবে।’
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, বর্তমান সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, সরদার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।