বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ভবিষ্যৎ নিয়ে মানস ভাটিয়ার চিন্তাকে বেশ দুঃসাহসিকই বলতে হবে। আকাশছোঁয়া অট্টালিকা থাকবে গাছ, লতাপাতা দিয়ে ঘেরা। যেন একেকটা বায়ু বিশুদ্ধ করার টাওয়ার।
নয়াদিল্লির স্থপতি মানস ভাটিয়া। তার কল্পনায় চিত্রিত হয়েছে ভবিষ্যতের নগরী। আর এ কাজে তাকে সাহায্য করেছে বর্তমানের সাড়া জাগানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মিডজার্নি। ভাটিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী প্রতিটা ছবি আঁকতে ২০ মিনিটের মতো লেগেছে তার। প্রতিটি প্রকল্পের বর্ণনাকে ১০০ বারের বেশি পরিবর্তন ও সংযোজন করেছেন। পরিপূর্ণ আকারে আসার পর প্রয়োজনমতো ফটোশপ ব্যবহার করতে হয়েছে।
সিম্বায়োটিক আর্কিটেকচার নামের একটা প্রকল্পে ভাটিয়া অন্য রকম নগরীর ধারণা সামনে এনেছেন। যেখানকার ভবন, বিল্ডিং বা স্থাপনাগুলো দৈনন্দিন জীবনের উপাদান থেকে তৈরি হবে। চিত্রটা অবশ্য ৩৮০ ফুট উঁচু ক্যালিফোর্নিয়ার গাছ হাইপারিয়ন থেকে প্রভাবিত। সেখানে দেখা যায়, অ্যাপার্টমেন্টগুলো হবে জীবন্ত বিশালাকার গাছের ভেতরে। ভাটিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, যদি নির্মাণসামগ্রীগুলো জীবন্ত হয়; তাহলে প্রাকৃতিকভাবেই ভবনে বায়ু চলাচল করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে চিত্র অঙ্কনে এআইয়ের জনপ্রিয়তা শিল্প ও সৃজনশীলতার ধারণা বদলে দিচ্ছে। গত মাসে কলোরাডোর গেম ডিজাইনার জ্যাসন অ্যালেন মিডজার্নি ব্যবহারের মাধ্যমে ছবি তৈরি করে চিত্র প্রতিযোগিতায় ৩০০ ডলার জিতে নেন। খবরটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বেশকিছু শিল্পীর সমালোচনার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। কারণ জ্যাসন চিত্রটি তৈরি করেছেন মিডজার্নির সহযোগিতায়। জ্যাসনের কাছে মিডজার্নি নিজের কল্পনাকে প্রকাশ করারই একটা মাধ্যম।
ভাটিয়ার মতে, এআই আর্টের নতুন এক যন্ত্র। কেউ যেকোনোভাবে আর্টকে ব্যাখ্যা করতে পারে। অন্যদিকে একজন শিল্পী যেকোনো যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন শিল্প সৃষ্টির জন্য। যে কেউ এআই ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু শেষ অবধি ভালো ফল বের করে আনবে কেবল সৃষ্টিশীল লোকেরাই। ভবিষ্যতের স্থপতি ও ডিজাইনারদের জন্য তাই এআই দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।