সূর্যের আলো সাদা দেখালেও, এটি আসলে রংধনুর সব কটি রং দিয়ে তৈরি। আলো তরঙ্গ আকারে চলে। এর প্রতিটি রঙের নিজস্ব তরঙ্গদৈর্ঘ্য আছে। কিছু রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট, তবে অনেক রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য দীর্ঘ। সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলে ঢুকলে তা গ্যাসের অণু এবং ভাসমান ধূলিকণাকে আঘাত করে।
ফলে বিভিন্ন রং ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রঙের চেয়ে স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের রং আমাদের চোখে বেশি ধরা পড়ে। যেহেতু নীল আলো ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের, তাই আকাশকে আমাদের চোখে নীল দেখায়। বেগুনি রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য নীল রঙের চেয়ে কম। তাই হয়তো মনে হতে পারে, আকাশ বেগুনি দেখাবে। কিন্তু মানুষের চোখ বেগুনি থেকে নীল রঙের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। সে কারণেই আকাশ নীল দেখায়, বেগুনি নয়।
রংধনু
সূর্য পেছনে থাকা অবস্থায় সামনে বৃষ্টি হলে রংধনু দেখা যায়। সূর্যের সাদা আলো লাখ লাখ বৃষ্টির ফোঁটা ভেদ করে যাওয়ার সময় সাদা আলো বিভিন্ন রঙে ভাগ হয়ে যায়।
সূর্যাস্তের সময় আকাশে বিভিন্ন রং দেখা যায় কেন?
সূর্য আকাশের দিগন্তে ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ভেতরে ঢুকে যায়। আরও অনেক কণা ও ধূলিকণার মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করতে হয় একে। তখন নীল আলো আরও বেশি বিক্ষিপ্ত হয়। ফলে আকাশ নীল আলোর চেয়ে দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্য লাল ও হলুদের মতো দেখায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।