স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসবে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল। আর এটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি’র হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের হেড কোচ টবি র্যাডফোর্ড।
র্যাডফোর্ড বলেন, ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের এখানে আসার কথা রয়েছে। আমরাও সেখানে যাবো। আন্তর্জাতিক লেভেলে ভালো করতে ছেলেদের ফাস্ট উইকেটে খেলার অভ্যস্ততা বাড়াতে হবে। এজন্য ইংল্যান্ডে সিরিজ আয়োজনের কথাও পরিকল্পনায় আছে। তবে করোনার সময় কোনোকিছুই নিশ্চিত করে বলা যায় না।
প্রথমবারের মতো বিসিবি’র অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্সে যোগ দিয়ে তিনি জানান, টাইগারদের জন্য টেস্ট ক্রিকেটার তৈরিই হবে মূল লক্ষ্য। আর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারদের দলে পাওয়াকে বাড়তি চাপ নয়, বরং সুযোগ হিসেবেই দেখছেন টবি।
ঢাকার মাটিতে পা ফেলেছেন সপ্তাহ দুয়েক আগে। এসেই প্রেসিডেন্ট কাপে শান্ত’র দলের দেখভাল করেছেন। আসর শেষ করে আর সময় অপচয় করেননি টবি।
একদিন বিশ্রামের পরই শিষ্যদের নিয়ে নেমে গেছেন মাঠে। গত দু’দিনের মতো আজও ধরে ধরে কাজ করছিলেন এইচপি ইউনিটের ক্রিকেটারদের নিয়ে।
যুবাদেরকে জাতীয় দলের জন্য পরিণত করে তুলতে হবে। টেকনিক আর স্কিলগুলো নিখুঁত করে গড়তে হবে। এজন্য কেবল অনুশীলনই যথেষ্ট নয়। খেলতে হবে সমূদ্রের ওপারের দলগুলোর বিপক্ষে। সবকিছুই পরিকল্পনায় আছে টবির।
এইচপি দলের শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হলেও, প্রেসিডেন্ট কাপে তরুণদের খেলা দেখেছেন। আসছে টি-টোয়েন্টি লিগেও থাকছে যাচাইয়ের সুযোগ। তবে সাদা বলে নয়, ক্রিকেটারদের লঙ্গার ভার্সনের জন্য গড়ে তোলাই এই ইংলিশের মূল লক্ষ্য।
র্যাডফোর্ড বলেন, আমি একটু পুরোনো চিন্তার। টেস্টের ব্যাপারেই আমি বেশি আগ্রহী। বাংলাদেশ ওয়ানডেতে শক্তিশালী দল। সাদা বলে তারা যে কাউকে হারাতে পারে। তবে টেস্টে এখনও প্রমাণের জায়গা রয়েছে। বিশেষ করে ওভারসিজ টুর্নামেন্টে পেস বোলারদের সামলাতে এখনও কাজ করতে হবে। সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা পরিকল্পনা করেছি।
এইচপি দলের ২৬ সদস্যের ১২ জনই ছিলেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলে। তাতে কি দায়িত্বটা বেড়ে গেলো?
র্যাডফোর্ড বলেন, দেখুন তাদের একটা অর্জন আছে। তবে সেটা অতীত। আর তাদের বা আমার জন্যও এটা বাড়তি কোনও চাপ নয়। প্রত্যেকেই পেশাদার। বরং বলতে পারেন এটা আমার জন্য ইতিবাচক।
প্রসঙ্গত, ১২ নভেম্বর শেষ হবে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রথম পর্বের অনুশীলন ক্যাম্প।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।