আগামী ১০ নভেম্বরের পর থেকেই দেশের উত্তরাঞ্চলের মাধ্যমে শীতের আগমন ঘটতে পারে। তবে ডিসেম্বরের আগে বড় ধরনের কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বেসরকারি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা।
রোববার (২ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, চলতি মাসের শেষের দিক থেকে সারা দেশেই শীতের আমেজ অনুভূত হতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের উত্তরাঞ্চলে — বিশেষ করে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলায় — শীতের শুরু হবে। পরে ধীরে ধীরে সারা দেশে শীত ছড়িয়ে পড়বে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, “উত্তরাঞ্চল থেকেই শীতের সূচনা হয়, এবারও সেই ধারা বজায় থাকবে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ঠান্ডা অনুভূত হবে, তবে ডিসেম্বরের আগে বড় কোনো শৈত্যপ্রবাহ আসার আশঙ্কা নেই।”
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। একই সঙ্গে এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি নভেম্বরে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে দুই-তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নভেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া চলতি মাসে দেশের কোথাও কোথাও এবং নদী অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ, কার্যকর ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



